তিমির চক্রবর্ত্তী: মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ জানান, প্রতিদিন আমরা যে খাবার খাই তার তিন ভাগের এক ভাগ আসে মৌমাছির পরাগায়ন থেকে। পরিসংখ্যানের দিক থেকে কীটপতঙ্গের মাধ্যমে যেসব উদ্ভিদের পরাগায়ন হয় তাতে শুধু মৌমাছির অবদানে ৮০ ভাগ। সূত্র: জাগো বিডি
কানাডিয়ান হানি কাউন্সিল থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, এক পাউন্ড মধু উৎপাদনে প্রায় ২০ লাখ ফুল থেকে মৌমাছিকে প্রায় ৮০ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে এই মধু সংগ্রহ করতে হয়। আর একটি মৌমাছি তার জীবনে এক চা চামচ পরিমাণ মধু সংগ্রহ করে।
তিনি বলেন, বর্তমানে মানুষ খাবার হিসেবে ফলমূল-শাকসবজির ৭০ ভাগই উৎপন্ন হয় মৌমাছির পরাগায়নের মাধ্যমে। পৃথিবীতে প্রতি বছর মৌমাছির পরাগায়নের মাধ্যমে যে পরিমাণ খাদ্যের উৎপাদিত হয় সেগুলোর আর্থিক মূল্য আনুমানিক ২২ হাজার কোটি ডলার। এই অর্থনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে বিশ্বব্যাপী ১৪০ কোটি মানুষের জীবিকা।
আবদুল মুঈদ জানান, মানুষের বাড়তি খাবারের জোগান দিতে মৌমাছির সহায়তা ছাড়া এ উৎপাদন এক প্রকার অসম্ভব। একটি মৌচাকের চারপাশে চার বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে যত ফুল ফোটে মৌমাছি একদিনে সেগুলোতে ঘুরে মধু সংগ্রহ ও পরাগায়ন করতে সাহায্য করে। তাই আমাদের মৌমাছি চাষে বেশি মনোযোগ দিতে হবে।