শিরোনাম
◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয় ◈ কত টাকার বিনিময়ে মানববন্ধনে এসেছেন তারা, এদের পরিচয় কী? আরো যা জানাগেল (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:৪৭ দুপুর
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:৪৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারে চীনা পণ্যে করোনাভাইরাসের প্রভাব

মাজহারুল ইসলাম : ভোগ্যপণ্যের সর্ববৃহৎ ওই পাইকারি বাজারটি চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে। সেখানে সরবরাহ সংকট না থাকলেও চলমান অবস্থায় চীন থেকে পণ্য আমদানি ব্যাহত হবে, এমন আশঙ্কায় আদা, রসুন ও কেমিক্যাল পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। বণিকবার্তা

খাতুনগঞ্জের হামিদউল্লাহ মার্কেটের কাঁচা পণ্য আড়তে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে চীনা আদা ও রসুনের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। আগে প্রতি কেজি চীনা আদা ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। এছাড়া রসুনের দাম কেজিপ্রতি প্রায় ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। শুকনো আদার কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা বেড়ে ৪৫০ টাকা এবং চীনা পেঁয়াজের দাম ১৫/২০ টাকা বেড়ে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, চীনে ২০ জানুয়ারি থেকে চান্দ্র নববর্ষের ছুটি চলছে। তাই চলতি মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত শিপমেন্ট বন্ধ রেখেছেন চীনের ব্যবসায়ীরা। তার ওপর দেশটিতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় ছুটি শেষেও চীন থেকে পণ্য আমদানিতে এক ধরনের অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় অদূর ভবিষ্যতে সরবরাহ সংকটের আশঙ্কা থেকেই অনেকে চীনা পণ্যের মজুদ বাড়িয়েছেন, যার প্রভাব পড়ছে বাজারে।

খাতুনগঞ্জের মেসার্স সততা বাণিজ্যালয়ের পরিচালক রতন রায় গণমাধ্যমকে বলেন, চীনের রপ্তানি বন্ধ থাকায় বেশ কিছুদিন ধরে আদা-রসুনসহ চীনা পণ্যের দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু ভাইরাসের কারণে চীনের পণ্য দেশে আসতে আরও সময় লাগতে পারে, এমন আশঙ্কায় প্রতিদিনই চীনা পণ্যের দাম বাড়ছে। তবে বিকল্প উৎস থেকে আমদানি শুরু হলে বাজার সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে।

খাতুনগঞ্জের আছদগঞ্জ, জেলরোড, পাথরঘাটা, বক্সিরহাট ও চাক্তাই এলাকার বিভিন্ন ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানে কাঁচা পণ্যের পাশাপাশি বেড়েছে কেমিক্যাল জাতীয় পণ্যের দাম। পাইকারি এসব প্রতিষ্ঠানে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সোডার (খাদ্যে ব্যবহৃত) দাম ১ হাজার ৫০০ টাকা বেড়ে প্রতি টন ৩০ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ব্লিচিং পাউডারের দামও প্রতি ড্রামে (৫০ কেজি) ২০০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ২০০ টাকা হয়েছে। হাইড্রোস প্রতি পাউন্ডের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। ইষ্ট প্রতি ৫০০ গ্রামের প্যাকেটের দাম ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে সর্বোচ্চ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গ্লোবাল সল্ট বা শিল্প লবণসহ চীন থেকে আমদানীকৃত কেমিক্যাল পণ্যের দামও ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের তাজ সায়েন্টিফিকের কেমিক্যাল বিভাগের ম্যানেজার মাহবুবুল হক বলেন, টেক্সটাইল, ওয়াশিং ও ডাইস কেমিক্যাল, বিøচিং পাউডার, এজেন্ট পাউডার, এসএলএস, ল্যাফথাসহ বিভিন্ন কেমিক্যাল পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে চীনের ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশ। চীনে সরকারি ছুটির কারণে ১০ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত এসব পণ্যের শিপমেন্ট বন্ধ থাকার পাশাপাশি করোনাভাইরাসের প্রভাবেও এসব পণ্যের দাম বেড়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়