শিরোনাম
◈ ফিলিস্তিনকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দিতে ব্রিটিশ সরকারকে ৬০ জন এমপির চিঠি ◈ সায়মা ওয়াজেদের ছুটি জবাবদিহির পথে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ : প্রেসসচিব ◈ চাঁদপুরে খতিবকে হত্যাচেষ্টা অভিযুক্ত আসামীকে জেলহাজতে প্রেরণ ◈ বালিয়াডাঙ্গীতে মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের গাড়িবহরে হামলা, আহত ৪ ◈ এবার রাজধানীর মিরপুরে ‘৫ কোটি টাকা’ না পেয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-গুলি ◈ আটকের গুজব উড়িয়ে দিলেন সাবেক মন্ত্রী এমএ মান্নান, বললেন ‘ভালো আছি, বাসায় আছি’ ◈ মিটফোর্ডে নৃশংস হত্যাকাণ্ড: ‘আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না, আমি ফাঁইসা গেছি’, গ্রেপ্তার রবিনের দাবি ◈ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪০% মূল্য সংযোজন চাহিদা বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের জন্য চ্যালেঞ্জ : বিজিএমইএ সভাপতি ◈ সাকিবের জন্য জাতীয় দলের দরজা সবসময় খোলা, বললেন বিসিবির মিডিয়া বিভাগের প্রধান ◈ অন্যায়কারী যেই হোক, প্রশ্রয় নয়: মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তারেক রহমানের

প্রকাশিত : ০৬ জুলাই, ২০২৫, ০১:৩১ রাত
আপডেট : ০৮ জুলাই, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চোখ বেঁধে প্রেমিকের হাত-পায়ের নখ তুলে নিল পুরনো প্রেমিকার পরিবার

কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠানে এক যুবক পুরনো প্রেমিকার ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাকে মুঠোফোনে ডেকে এনে চোখ ও হাত-পা গামছা দিয়ে বেঁধে প্রথমে বেধড়ক মারধর করা হয়, পরে তুলে নেওয়া হয় হাত ও পায়ের নখ।

মধ্যযুগীয় কায়দায় এ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ওসি মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে।’

শনিবার (৫ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে বড়উঠান ফাজিল খাঁর হাট এলাকার একটি ভাড়া বাসায় ঘটে এ নৃশংস ঘটনা। আহত মো. আলমগীর (২৫) স্থানীয় পুতা বেচার বাড়ির মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। পেশায় তিনি বাস চালক।

স্থানীয় সূত্র ও পরিবার জানায়, এক গার্মেন্টসকর্মীর (২৩) সঙ্গে আলমগীরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ছেলের পরিবার সম্পর্ক মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার ছিল বিপরীত। শেষমেশ বিয়ে না হয়ে আলমগীর অন্যত্র বিয়ে করেন। তবে বিয়ের পরেও ওই গার্মেন্টসকর্মীর সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল বলেও জানায় পরিবার।

গতকাল শুক্রবার রাতে মেয়েটির ফোন পেয়ে তার ভাড়া বাসায় যান আলমগীর। সেখানেই আটকে রেখে পরদিন দুপুরে মেয়েটির মা, দুই ভাই, দুই বোন এবং দুই বোনের স্বামী মিলে আলমগীরকে হাত-পা ও চোখ গামছা দিয়ে বেঁধে নির্মমভাবে মারধর করে। এক পর্যায়ে তার আঙুল ও পায়ের নখ তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগে বলা হয়।

বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আলমগীর।

আলমগীরের ভাই জসিম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, “আমার ভাই কোনো অপরাধ করলে তারা আইনের হাতে দিত। কিন্তু তারা নিজেরাই আইন হাতে তুলে নিয়ে অমানবিকভাবে নির্যাতন করেছে। আমার ভাই এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে।”

আহত আলমগীর হাসপাতালের শয্যা থেকে জানান, “আমি বুঝতেই পারিনি তার ফোনটা আমার জন্য ফাঁদ হবে। তার মা, ভাই-বোন সবাই মিলে আমার চোখ-মুখ বেঁধে এমন নির্যাতন করেছে, নখ তুলে নিয়েছে।”

কর্ণফুলী থানার ওসি মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘মামলা হওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ উৎস: দৈনিক আজাদী

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়