সোহেল হোসাইন : পছন্দের ছেলের সাথে বিয়ে দিতে রাজি হওয়ায় মা মাহমুদা বেগম (৪৫)কে হত্যার পরিকল্পনা করে মেয়ে জুলেখা আক্তার জ্যোতি।
পূর্বপরিকল্পিতভাবে বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে মানিকগঞ্জ শহরের দক্ষিণ সেওতা এলাকায় নিজবাড়িতে শ্বাসরোধে খুন হন তিনি। এই হত্যায় অংশ নেয় জ্যোতির প্রেমিক নাইম ইসলাম এবং তার ৩ সহযোগী।
সোমবার বিকালে মানিকগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহমেদের কাছে ১৬৪-ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় আটক জ্যোতি, নাইম ও নাইমের সহযোগী রাকিব।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মানিকগঞ্জ সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর শামীম আল মামুন জানান, মাহমুদা বেগমকে নিজ ঘরে খাটের ওপর লেপচোপায় শ্বাসরোধে হত্যার পর, জ্যোতিকে হাত, পা, মুখ বেঁধে মাকে হত্যা করে স্বর্ণালংকার লুটের নাটক সাজায় তারা। কিন্তু একদিনের মাথায়, পুলিশের তদন্তে তা ফাঁস হয়ে যায়।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, বুধবার সকালে হত্যাকাণ্ডের সময় বাড়িতে থাকা নিহতের একমাত্র মেয়ে জ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবদের জন্য ওই দিনই থানায় ডেকে নেন তারা। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে সে। বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার বিকেলে তাকে মানিকগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল আদালতের মানিকগঞ্জ সদরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটেটের কাছে প্রেরণ করা হয় । হত্যাকান্ডের ব্যাপারে অধিকতর তথ্য আদায়ের লক্ষ্যে আদালতের বিচারকের কাছে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। বিচারক ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুক্রবার বিকালে নিহতের স্বামী জহিরুল ইসলাম আলিয়ার বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় মেয়ে জ্যোতি আক্তার, তার কথিত প্রেমিক নাইম ইসলাম এবং তার সহযোগী রাকিব ও অন্য ২ সহযোগীর বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ দায়ের করেন।
শুক্রবার রাতে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, জ্যোতি আক্তার তার মায়ের হত্যাকান্ডের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতেই তার কথিত প্রেমিক কেরানীগঞ্জের আরাকুল গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে নাইম ইসলাম (২৫) এবং তার সহযোগি একই গ্রামের মৃত আব্দুল বারেকের ছেলে রাকিবকে (২৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আরও দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :