চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেলো চুয়াডাঙ্গা সদরের এক স্কুল ছাত্রী।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে শহরের আরমপাড়া এলাকায় কাজীর বাড়িতে বিয়ে পড়ানোর সময় অভিযান চালান জেলার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান।
এ ঘটনায় ভুয়া কাজীকে দেড় মাস এবং ওই স্কুল ছাত্রীর দুলাভাইকে এক মাস জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও বাল্যবিয়ে করতে যাওয়া নাবালক বরকেও থানা হাজতে নিয়েছে পুলিশ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানতে পারেন চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের আরাম পাড়াই ভুয়াকাজী নাজমুল হক হীরার বাড়িতে একটি বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশ ও শহর ফাঁড়ি পুলিশের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এ সময় বিয়েতে আসা বর ও কনের আত্মীয় স্বজন পালিয়ে গেলেও আটক হন বর কনেসহ মেয়ের দুলাভাইসহ ভুয়া কাজী।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন—একাধিক বাল্যবিয়ে পড়ানোর দায়েরকৃত মামলার আসামি নাজমুল হক হীরা (৫৮)। অপরজন ওই কনের দুলা ভাই চুয়াডাঙ্গা শহরতলী আলুকদিয়া খেজুরবাগান পাড়ার মৃত হবি মিয়ার ছেলে ফরজ আলী (৩০)।
এ ঘটনায় নাবালক বর মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার হিজলবাড়ী গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ভাটা শ্রমিক শরিফকে (১৫) থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। সম্পাদনা : আলআমিন