শঙ্কর মৈত্র
মিয়ানমার সফর করছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং। রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক আদালতে যখন বিচার হচ্ছে মিয়ানমারের, গণহত্যার দায়ে সমালোচনার মুখে, তখন দেশটি সফর করছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। শুধু তাই নয়, বিগত ১৯ বছরের মধ্যে চীনের কোনো প্রেসিডেন্ট মিয়ানমার সফর করলেন। এ সফরে শতকোটি ডলারের চুক্তি করবেন চীনা প্রেসিডেন্ট। এর মধ্যে রয়েছে : ১. মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের কিয়াকপিউ দ্বীপে চীন-মিয়ানমার ইকোনমিক করিডরের (সিএমইসি) গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপন। ২. একশ ত্রিশ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবয়ন হবে। ৩. রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে তাদের ফেলে আসা ভূমিতে চীন শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলছে। রাখাইন রাজ্যে কয়েকটি ইপিজেড গড়ে তুলবে চীন। এখন রোহিঙ্গা গণহত্যা আর রোহিঙ্গা তাড়ানোর মাজেজাটা স্পষ্ট হলো? উইঘুর সম্প্রদায়ের মুসলিমদের কীভাবে নির্যাতন করছে চীন তা সবাই দেখছেন। গণতন্ত্রের কথা বললে কী পরিণতি হয় তাও জানি। চীন আমেরিকার চেয়েও খারাপ। আমেরিকায় মানুষ যেতে পারে, বসবাস করতে পারে, কাজ করতে পারে, কথা বলতে পারে। কিন্তু চীনে এর একটিও করা সম্ভব নয়। চীন নিজের স্বার্থ ছাড়া আর কিছুই বোঝে না। ফেসবুক থেকে