নাদেরা সুলতানা নদী : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর যৌন নির্যাতন নিয়ে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা কিছু বলিনি, না ক্ষোভ, না হতাশা, না বিচার। বলিনি কারণ একদম শুরুতেই ঘটনাটা ওভাবে চোখে পড়েনি আমার। সম্প্রতি সকালে কাজে যেতে যেতে ট্রেনে নিউজ ফিডে চোখ রাখতে গিয়েই বুঝতে পারলাম প্রতিবাদের শব্দেরা যতোই উপহাস করুক, ভিতরে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া নদী খুব করে যেন চাইছিলো অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে দাঁড়িয়ে আরও একবার বুকের সবটুকু শক্তি নিয়ে চিৎকার করে বলতে, এ সময়ে এসেও এমন অসভ্য বিকৃত পুরুষমুক্ত সমাজ আমরা করতে পারলাম না।
এই দায় আর কে নেবে কীভাবে নেবো আমরা, কেন নিচ্ছি, কোথাও কি কেউ নেই। এতোটা সময়ের পরও এই ধর্ষককে কেন জনসমক্ষে আনা গেলো না... তাহলে কি এই সময়েও বুকের পাঁজর ছিঁড়ে গেলেও এটা মেনে নিয়ে বলতে হচ্ছে ‘এই সময়, সমাজ, রাষ্ট্র প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ধর্ষক তৈরির কারখানা, ধর্ষকবান্ধব। আমি একজন মেয়ে হয়ে বা মেয়েশরীর বহন করার দায় থেকে বুঝতে পারি, শারীরিক হয়রানি হলে তা কাটিয়ে উঠার জন্য যুদ্ধটা কী ভীষণ কঠিন আজও বাংলাদেশে।
এমন ঘটে, ঘটেই চলেছে... ফেসবুক আছে অল্প বিস্তর প্রকাশ করি দিনশেষে নিজে ভালো থাকার জন্য হয়তো। কিন্তু লেখায় আর কি হয়, কিচ্ছু না। যে বা যারা ক্ষোভে ফুঁসে উঠলে আমরা দেখতে পেতাম বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে আর যাই হোক সভ্য হয়ে উঠছে, সমাজ হচ্ছে সচেতন এমন অনাচারে... তেমন আশা করার কারণ কী এই মুহূর্তে আছে? আর কিছু হোক আর না হোক, সভ্য পুরুষেরা যদি বুকের সব দ্রোহ, প্রেম, শ্রদ্ধা নিয়ে নারীদের পাশে না দাঁড়ান পাশে নিয়ে বিশ্বাসের হাত, একটা সময় আসবে যেখানে আর কোনো মেয়েই স্বাভাবিকতা নিয়ে কোনো পুরুষকেই ভালোবাসতে পারবে না, স্বাভাবিক কোনো সম্পর্কই থাকবে না... ভাবতে পারছেন কি কেউ কী ভীষণ অসহায় আর নির্মম এই অনুভব? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :