মাজহারুল ইসলাম : জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ৮ হাজার লক্ষ্যমাত্রার স্থলে এবার গমচাষ হয়েছে ১১ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে। বেশ কয়েক বছর গমের উপযুক্ত দাম না পেয়ে এবং হুইট ব্লাষ্ট রোগের কারণে ফলন বিপর্যয়ে গম চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছিলো জেলার কৃষকরা। এবার ব্যতিক্রম মাঠে চোখ মেলে দেখা যায় মাঠজুড়ে সবুজে ভরা গম গাছ। বাসস
গমের উৎপাদন বাড়াতে রোগ প্রতিরোধী ও জিংক সমৃদ্ধ উচ্চফলণশীল গমের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ব্যাপক সাফল্য বয়ে এনেছে। বাংলাদেশ গম ও ভুট্ট গবেষণা ইনষ্টিটিউট গমের নতুন নতুন জাতসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শনে মাঠ দিবসের আয়োজন করায় এর সুফল কৃষকের দ্বারপ্রান্তে এখন। এতে গম চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের।
বারি-৩১, বারি-৩২,বারি-৩৩ রোগ প্রতিরোধী ও জিংক সমৃদ্ধ উচ্চফলণশীল নতুন জাতের গমে এবার ভালো ফলন আশা করছে কৃষক ও কৃষিবিভাগ। ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী নতুন জাতের গম চাষ করে জেলার কৃষকরা এখন শংকামুক্ত। বাজার দর ভালো থাকলে আগামীতে এ অঞ্চলে গমের আবাদ আরও বাড়বে।সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মাঠে কথা হয় গামচাষী হেকমত আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ব্লাস্ট রোগের কারণে গম চাষ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এবার ৩বিঘা জমিতে উচ্চফলনশীল গমের চাষ করেছি। কোন প্রাকৃতিক দুূর্যোগ না হলে ভালো ফলন হবে।
মেহেরপুর জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. মো. আক্তারুজ্জামান জানিয়েছেন, তাপ, ক্ষরাসহিষ্ণু জমি গম আবাদের জন্য উপযোগী। রোগ প্রতিরোধী ও জিংক সমৃদ্ধ উচ্চফলণশীল গমের নতুন নতুন জাত চাষীদের গম চাষে আগ্রহ বাড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রয়েছে। দেশে গমের উৎপাদন বাড়াতে রোগ প্রতিরোধী ও জিংক সমৃদ্ধ উচ্চফলণশীল গমের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের কাজ করছে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনষ্টিটিউট। এ প্রযুক্তি দৌড়গোড়াতে চলে আসাতে কৃষকদেরও গম চাষে আগ্রহ বাড়ছে। সম্পাদনা : তন্নীমা আক্তার