আসিফুজ্জামান পৃথিল : বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র সংসদের দাবি হামলাকারীরা সবাই বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারত বিদ্যার্থী পরিষদ-এবিভিপির সদস্য। এই ঘটনায় মাথায় বড় ধরণের আঘাত পেয়েছেন বিশ^বিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশি ঘোষ। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভি, দ্য হিন্দু
এই ঘটনায় টুইট করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানান, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশের কমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যেনো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের ভার একজন যুগ্ম পুলিশ কমিশনারকে দেয়া হয়। এক বিবৃতিতে ছাত্র সংসদ বলেছে, ‘পুলিশের উপস্থিতিতেই লাঠি, রড, হাতুড়ি নিয়ে ঘুরছে এপিভিপি, সবাই মুখোশ পরা। ওরা ইট ছুড়ছে, পাঁচিল টপকে ঢুকছে, এবং হোস্টেলে ঢুকে ছাত্রদের মারছে। আহত হয়েছেন বেশ কিছু অধ্যাপকও। নির্মমভাবে আক্রান্ত হয়েছেন আমাদের সভাপতি ঐশী ঘোষ, তার মাথা থেকে অঝোড়ে রক্ত ঝরছে। এই গুন্ডাদের তাড়া খেয়ে নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে ছাত্রছাত্রীরা। পুলিশ এই অপরাধে জড়িত, তারা নির্দেশ নিচ্ছে সংঘ সমর্থক প্রফেসরদের কাছ থেকে, শিক্ষার্থীদের ভারত মাতা কি জয় স্লোগান দিতে বাধ্য করছে।’
এই অভিযোগ খন্ডন করে এক পাল্টা বিবৃতিতে এপিভিপি জানিয়েছে, ‘ছাত্রছাত্রীদের ওপরে হামলা চালায় ৩টি বামপন্থী ছাত্রসংগঠন। অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।’ সংগঠনটির সভাপতি নিধি ত্রিপাঠি পাল্টা অভিযোগ করেছেন যে নক্সালপন্থীরা হোস্টেলে ঢুকে ভাংচুর চালিয়েছে, এবং ছাত্রছাত্রীদের লোহার রড দিয়ে আঘাত করেছে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ