সমীরণ রায়: শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আদর্শ নেতৃত্ব গঠনের জন্য ছাত্রলীগের কর্মীদের লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে হবে। এ সংগঠন গড়ে তুলেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছাত্রলীগের যে ঐতিহ্য, তা মনে রাখতে হবে। মনে রেখেই একজন কর্মী হিসেবে আচার-আচরণ করা উচিত। এমন নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে, যাতে দেশ ও জাতির বিশ্বাস অর্জন করে চলতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল আইয়ুব খান ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ওই আইয়ুবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন। জিয়াউর রহমান অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থীর জীবন নষ্ট করে দিয়েছেন। সাত খুনের আসামিকে, যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ারা মেধাবী ছাত্রদের ব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার কাজে লাগিয়েছেন ছাত্রজীবনকে।
দুপুর আড়াইটায় শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তখন স্লোগান দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। উত্তরীয় পরিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেন ছাত্রলীগের নেতারা। পরে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়। এরপর বাজানো হয় দেশাত্মবোধক গান। বিকেল পৌনে পাঁচটায় বক্তব্য দেয়া শুরু করেন শেখ হাসিনা।
এদিকে, সকাল থেকেই নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন হাতে মিছিল সহকারে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘শুভ শুভ শুভ দিন-ছাত্রলীগের জন্মদিন’ স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে গোটা উদ্যান। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান রূপ নেয় ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতা-কর্মীদের এক মিলনমেলায়।