কূটনৈতিক প্রতিবেদক: সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়া মোয়াজ্জেম আলীর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্র সন্তান রেখে গেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এমএসসি পাশ করে সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ১৯৪৪ সালের ১৮ জুলাই সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন।
শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।শোক বার্তায় তারা বলে, মোয়াজ্জেম আলীর মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন দক্ষ কূটনীতিককে হারালো। মোয়াজ্জেম আলী একজন দক্ষ কূটনীতিক হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
১৯৬৮ সালে পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে কূটনৈতিক পেশা শুরু করেন সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় ৪ আগস্ট তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্যের ঘোষণা দেন এবং ওয়াশিংটনে অস্থায়ীভাবে বাংলাদেশ সরকারের দূতাবাস প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি পেতে তার ভূমিকা ছিলো।
চাকুরি জীবনে ফ্রান্স, ভুটান ও ইরানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, ওয়শিংটন ডিসি, পোল্যান্ড, সৌদি আরব, পাকিস্তান, পর্তুগাল, ইউনেস্কোসহ বিভিন্ন রুত্বপূর্ণ মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যান মোয়াজ্জেম আলী। তখন তিনি পররাষ্ট্রসচিব ছিলেন।
সর্বশেষ তিনি অবসরে যাওয়ার পর ২০১৪ সালে বর্তমান সরকার তাকে ভারতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার পদে নিয়োগ দেয়।দায়িত্ব পালন শেষে চলতি মাসেই দেশে ফিরে আসে সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী।
আপনার মতামত লিখুন :