শিরোনাম
◈ খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন শেখ হাসিনা ◈ খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিপিএলের আজ‌কের খেলা স্থগিত ◈ খালেদা জিয়া গৃহবধূ থেকে যেভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম নেতা হয়ে উঠেছিলেন  ◈ শহীদ জিয়ার পাশেই শায়িত হবেন খালেদা জিয়া ◈ আজ দুপুর ১২টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ◈ খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের শোক ◈ ‘মাথার ওপর থেকে মায়ের ছায়া সরে গেল’: খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন রিজভী ◈ খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নরেন্দ্র মোদির শোক: ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক জোরদারে তার অবদান চিরস্মরণীয়’ ◈ খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জকসু নির্বাচন স্থগিত: উপাচার্য ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও অবরোধ ◈ খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে চীনা প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ দুপুর
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সূর্যের খুব কাছে অবাক করা কান্ড দেখলো নাসার মহাকাশযান

মাজহারুল ইসলাম : ‘পার্কার সোলার প্রোব’ নামের ওই মহাকাশযান এমন সব ঘটনা দেখলো, যা এর আগে আর কেউ ভাবতেও পারেননি। পার্কার সোলার প্রোব যেসব ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে, সম্প্রতি তা প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান জার্নাল ‘নেচার’ এর ৪টি গবেষণাপত্রে। আনন্দবাজার

নাসার মহাকাশযান পার্কার সোলার প্রোব ২০১৮’র ১২আগস্ট সৌর অভিযানে রওনা হয়। নাসার মহাকাশযান এই প্রথম যেসব অবাক করা কাণ্ডের হদিস পেলো, তা সৌরমন্ডলে ইসরোর মহাকাশযানের খুব কাজে লাগবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

দেখা গেলো, সূর্য থেকে বেরিয়ে এ সৌরমন্ডলে পৃথিবীসহ অন্য গ্রহগুলির দিকে ছুটে আসতে আসতে হঠাৎই ‘মতিভ্রম’ হয় সৌরবায়ু বা সোলার উইন্ডের। সেগুলি আবার উল্টোমুখে সূর্যের দিকেই ছুটে যায়। তারপর খামখেয়ালে ইলেকট্রন, প্রোটনের মতো খুব ছোট ছোট কণা নিয়ে সে আবারও সেকেন্ডে ৯০০ কিলোমিটার বা তারও বেশি গতিবেগে ছুটতে শুরু করে অন্য গ্রহগুলির দিকে। তখন তার তাপমাত্রা থাকে ১০ লক্ষ ডিগ্রি কেলভিন। সৌরবায়ুর এই খামখেয়ালিপনা সূর্যের সর্বত্র এক রকমভাবে হয় না। কোথাও তা বেশি আবার কোথাও বা কম দেখা যায়।

পার্কার সোলার প্রোবই প্রথম দেখলো, সূর্যের কাছাকাছি এমন এলাকা রয়েছে, যেখানে কোনও ধুলোবালি নেই। যাকে একেবারেই ‘ডাস্ট-ফ্রি জোন’ বলা যায়। এতোদিন বিজ্ঞানীরা জানতেন, ব্রহ্মাান্ডের সর্বত্রই ছড়িয়ে রয়েছে মহাজাগতিক ধূলিকণা (কসমিক ডাস্ট)। কিন্তু এই প্রথম দেখা গেলো, সূর্যের কাছাকাছি এমন জায়গাও রয়েছে, যেখানে থাকতে পারে না মহাজাগতিক ধূলিকণারাও। সূর্যের তাপ তাদের জ্বালিয়ে, পুড়িয়ে নিঃশেষ করে দেয়।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইসার-কলকাতা)’এর অধ্যাপক সৌরপদার্থবিজ্ঞানী দিব্যেন্দু নন্দী বলছেন, সবচেয়ে অবাক করা ঘটনা সৌরবায়ুর আচমকা উল্টোমুখী হয়ে পড়া। যাকে ‘সুইচব্যাক’ বলা হচ্ছে।

নৈনিতালের ‘আর্যভট্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ অবজারভেশনাল সায়েন্সেস (অ্যারিস)এর কর্মকর্তা সৌরপদার্থবিজ্ঞানী দীপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, সূর্যের কোথাও কোথাও সৌরবায়ু অনেক ধীর গতিতে বইছে। আবার কোথাও তা অনেক বেশি জোরালো। এ সবের ফলে, বোঝা সহজতর হবে, পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টির অনুকুল পরিবেশ তৈরির জন্য সূর্য কতটা শক্তিশালী ছিলো। সম্পাদনা : তন্নীমা আক্তার

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়