মনিরুল ইসলাম: জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, "একটি দল লম্বা লম্বা কথা বলা ছাড়া সুকৌশলে চাঁদা ও হাদিয়া নেওয়া ছাড়া কোনো কাজ করে না। তারা বসুন্ধরা ও সিটি গ্রুপসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছে—যার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। সব কিছুরই একদিন হিসাব হবে।"
সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে 'মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের প্রতিবাদ' এবং মিটফোর্ড এলাকায় প্রকাশ্যে লালচাঁদ সোহাগকে হত্যার বিচার দাবিতে অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, "ওই দল বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তির ছায়ায় চলে—এরশাদের সময়ে তার কাঁধে ভর করেছে, আওয়ামী লীগের সময়ে তাদের পাশে থেকেছে, বিএনপির সময়েও সুবিধা নিয়েছে। এখন বিএনপিই তাদের একমাত্র মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, “এক ব্যক্তি ও তার দল (ইঙ্গিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) এখন বলছে, বিএনপিও আওয়ামী লীগের মতো যাবে। কিন্তু তারা ভুল করছে। এই বাংলাদেশ আমাদের স্থায়ী ঠিকানা। বিএনপিকে সহজে মুছে ফেলা যাবে না।”
শাপলা চত্বরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “২০১৩ সালে হেফাজতের ওপর হামলার সময় চরমোনাইয়ের পীর কোথায় ছিলেন? তিনি কি মুসলমানদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন? দাঁড়াননি। আর তখন বিএনপিই দাঁড়িয়েছিল।”
তিনি বলেন,“তারা তারেক রহমানকে সহ্য করতে পারছে না। কিন্তু তাতে কিছুই যায় আসে না। তারেক রহমান তার নেতৃত্বগুণে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।”
ন্যাশনাল রিপাবলিক পার্টি এবং ‘বাংলাদেশ চিলড্রেন্স পার্টি’ প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, “এইসব দলের কেউ কেউ এখন তারেক রহমান ও জিয়াউর রহমান সম্পর্কে মন্তব্য করছেন। অথচ তাদের পূর্বপুরুষরাও জিয়াউর রহমানকে চিনতেন না। এসব কথা শুনে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম মজনু এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন। বক্তব্য রাখেন মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুবদলের সভাপতি এম মোনায়েম মুন্না প্রমুখ।