শিরোনাম
◈ সাংবাদিকের লাশ মিলল রূপসা সেতুর নিচে, স্ত্রী নিখোঁজ ◈ #TrumpIsDead গুজব উড়িয়ে ট্রাম্পের সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিক্রিয়া: “জীবনের সেরা সময় কাটাচ্ছি” ◈ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যে মারাত্মক ঝড় বয়ে যাচ্ছে এতে অর্থনীতি-রাজনীতি-সমাজ সবকিছু বিপর্যস্ত: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ◈ আগামীকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আরও সাতটি দলের বৈঠক ◈ শি’র পছন্দের ‘হংকি’ গাড়িতে সফর করবেন মোদি, নতুন মাত্রায় দিল্লি-বেইজিং সম্পর্ক ◈ জাপা নিষিদ্ধের পক্ষে জামায়াত এনসিপি, রাজি নয় বিএনপি ◈ খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া সেই বিচারপতির পদত্যাগ ◈ ঢাকা-ইসলামাবাদের সম্পর্ক পুনর্গঠনে সতর্ক দৃষ্টিতে ভারত ◈ দে‌শের ক্রিকেট সাম‌নে এ‌গি‌য়ে নি‌তে সবাইকে ক্ষুধার্ত হতে হবে পারফর্ম করার জন্য : পাইলট ◈ জয় পে‌লো না বা‌র্সেলোনা, ভ্যালেকানোর সঙ্গে ড্র ক‌রেই মাঠ ছাড়‌লো 

প্রকাশিত : ৩১ আগস্ট, ২০২৫, ১২:৪১ দুপুর
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন, ২২ বছর লালন পালন করা দুই ছেলের কেউই তাঁর সন্তান নয়!

খবরে বলা হয়েছে, চীনের শানডং প্রদেশের বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী জিয়াং হংতাও এ ঘটনার পর তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি স্ত্রীর কাছে ৩ লাখ ইয়েন (প্রায় ৪২ হাজার ডলার) ফেরতের দাবি জানিয়েছেন। জিয়াংয়ের দাবি, সন্তানদের লালন-পালন ও পড়াশোনার জন্য এই অর্থ খরচ হয়েছিল।

চীনের পূর্বাঞ্চলে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। এক ব্যক্তি ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন, তাঁর দুই ছেলের কেউই আসলে তাঁর জৈবিক সন্তান নয়। তাঁর বড় ছেলে তাঁকে আক্রমণ করার পর বিষয়টি সামনে আসে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।

জিয়াং ২০০২ সালে তাঁর স্ত্রীকে বিয়ে করেন। দুই বছর পর জন্ম নেয় তাঁদের প্রথম ছেলে। ২০১৪ সালে জন্ম নেয় দ্বিতীয় ছেলে। তবে ২০২২ সালের দিকে স্ত্রীর ঘনঘন অনুপস্থিতি এবং নানা সমস্যার কারণে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের সময় জিয়াংয়ের সব সম্পত্তিই পেয়ে যান তাঁর স্ত্রী। জিয়াংয়ের কাছে থেকে যায় শুধু একটি গাড়ি।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে জিয়াং আবার বিয়ে করেন এবং তিনি নতুন স্ত্রীকে নিয়ে বাসায় ফেরেন। আর তখনই তাঁর সাবেক স্ত্রী ও দুই ছেলে এসে তাঁর সম্পত্তি দাবি করে বসে। গৃহস্থালি খরচ নিয়ে ঝগড়ার সময় বড় ছেলে জিয়াং রুনঝে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে গলায় হাত চেপে ধরে চিৎকার করে বলে, ‘তুমি আমার বাবা নও।’ এতে সন্দেহ জাগে জিয়াংয়ের।

পরে জিয়াং রুনঝের টুথব্রাশ নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা করান। রিপোর্টে দেখা যায়, তাঁদের মধ্যে কোনো জৈব সম্পর্ক নেই। এরপর ছোট ছেলেরও পরীক্ষা করিয়ে একই ফল পান। জিয়াং দাবি করেন, বড় ছেলের বাবা হলেন তাঁর গ্রামের সচিব এবং ছোট ছেলের বাবা তাঁরই চাচাতো ভাই।

হতাশ জিয়াং বলেন, ‘আমার প্রাক্তন স্ত্রী আমার ভীষণ ক্ষতি করেছে।’ জিয়াংয়ের বাবা-মাও বেদনা প্রকাশ করে বলেন, ‘যাদের আমরা ২০ বছরের বেশি সময় ধরে নাতি ভেবে লালন করেছি, তারা আসলে আমাদের রক্তের কেউ নয়। আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে।’

আদালতে জিয়াং মানসিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ১৪ হাজার ডলার) এবং লালন-পালনের খরচ ফেরত চান। তবে বড় ছেলে রুনঝে পিতৃত্ব পরীক্ষার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। সে দাবি করে, জিয়াংয়ের বর্তমান স্ত্রী পরীক্ষার ফলাফলে কারসাজি করেছেন।

অন্যদিকে, জিয়াংয়ের প্রাক্তন স্ত্রী কেবল স্থানীয় নিয়ম অনুযায়ী মানসিক ক্ষতিপূরণের কথা মেনে নেন। তবে লালন-পালনের খরচ ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। পাশাপাশি বিচ্ছেদের চুক্তি বাতিলেরও আবেদন করেন। আদালত নিশ্চিত করেছে যে, দুই ছেলের কেউই জিয়াংয়ের জৈব সন্তান নয়। তবে রায় তখনো প্রকাশ করা হয়নি। পরে জানা যায়, জিয়াংয়ের চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীও জিয়াংয়ের প্রাক্তন স্ত্রী এবং ওই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পর্কের মামলা করেছেন।

এরপর, গত ২৪ আগস্ট রুনঝে এক ভিডিও বার্তায় জানান, আদালত জিয়াংয়ের পক্ষেই রায় দিয়েছেন। সে জানায়, সে, তাঁর ভাই ও মা জিয়াংয়ের পরিবারের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। ভিডিওতে রুনঝে আরও বলে, সে জিয়াং ও তাঁর নতুন স্ত্রীকে শুভকামনা জানায় এবং আশা করে তাঁরা দাদু-দাদির ভালো যত্ন নেবেন।

ঘটনাটি ইতিমধ্যে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ নিয়ে প্রকাশিত পোস্টগুলো দেখা হয়েছে ৩ কোটিরও বেশি বার। একজন মন্তব্য করেন, ‘জিয়াং আসলেই ভুক্তভোগী। তিনি ২২ বছর ধরে দুই ছেলেকে লালন করেছেন, অথচ শেষ পর্যন্ত একজন তাঁর টাকাই চাইল।’ আরেকজন লেখেন, ‘জিয়াং ন্যায়বিচার চাওয়ায় আমি তাঁকে সমর্থন করি। সবচেয়ে বেশি দায়ী প্রাক্তন স্ত্রীর অবিশ্বস্ততা।’ অনুবাদ: আজকের পত্রিকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়