আক্তারুজ্জামান : বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম ম্যাচেই জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সিলেট থান্ডারকে ৫ উইকেটে হারিয়ে আসর শুরু করেছে বন্দর নগরীর দলটি। শুরতে ব্যাটিং করে সিলেট নির্ধারিত ২০ ওভারে মোহাম্মদ মিঠুনের ৮৪ রানের ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান তুলেছিলো। জবাবে ৬ ওভার হাতে রেখে ইমরুল কায়েসের ফিফটিতে ভর করে জয় নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম।
দর্শকহীন খাঁ খাঁ গ্যালারিতে জয়োল্লাস করতে হলো চট্টগ্রামকে। কেননা মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে সপ্তম বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে গ্যালারি ছিলো ফাঁকা। ম্যাচের আগে টস জিতে সিলেট থান্ডার্সের দলনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনকে ব্যাটিংয়ে পাঠান চট্টগ্রামের সেনাপতি রায়াদ এমরিত। খেলা মাঠে গড়ানোর আগেও চট্টগ্রামের অধিনায়ক হিসেবে সবাই ইমরুলে নাম জানতো। কিন্তু টস করার সময় জানা যায় দলনায়কের ভার পড়েছে এমরিতের ওপর।
সপ্তম বিপিএলের দ্বিতীয় ওভারেই আসে প্রথম উইকেট। দলীয় ৫ রানেই রুবেলের বলে উইকেটের পেছনে নুরুল হাসানকে ক্যাচ দেন রনি তালুকদার। কিন্তুমিঠুনের সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি গড়ে জনসন চার্লস শুরুর ধাক্কাটা বড় হতে দেননি। ২৩ বলে ৩৫ রানে নাসুমের বলে বোল্ড হন চার্লস। এরপর জীবন মেন্ডিস ফেরার পরের পুরোটাই মিঠুন আর মোসাদ্দেকময়। দুজন ৯৬ রানের জুটি গড়েন। ৪৮ বলে ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ৪টি চার ও ৫টি ছক্কা মেরেছেন মিঠুন। ৩৫ বলে ২৯ রানে ফেরেন মোসাদ্দেক। চট্টগ্রামের হয়ে রুবেল ২টি এবং নাসুম ও এমরি ১টি করে উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৬৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল চট্টগ্রাম। ষষ্ঠ ওভারের মধ্যে টপ অর্ডারে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে দলটি। বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম বোলিংয়ে সিলেটকে ভালো শুরু এনে দেন। জুনায়েদ সিদ্দিকি ও নাসির হোসেনকে একই ওভারে তুলে নিয়ে চাপে ফেলেন চট্টগ্রামকে। ২
৬ বলে ৩৩ রান করে ফার্নান্দো ফেরার পর চট্টগ্রামের স্কোর দাঁড়ায় ৪৫/৪। তখন দিশেহারা চট্টগ্রামের হাল ধরেন ইমরুল কায়েস ও চ্যাডউইক ওয়ালটন। পঞ্চম উইকেটে দুজনের ৫২ বলে ৮৬ রানের জুটিতে জয়ের ভিত পায় চট্টগ্রাম। ৩৮ বলে ৬১ রানে ফেরেন ইমরুল। আর ৩০ বলে ৪৯ রানে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ওয়ালটন।