রাশিদ রিয়াজ : নতুন এক সমীক্ষা বলছে গাজা সীমান্তের কাছে ইসরায়েলের অন্তত ৪০ শতাংশ বাসিন্দা মনে করছে সেখানে বাস করা নিরাপদ নয় এবং তারা অন্যত্র সরে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন। ইসরায়েলের সংসদ নেসেটের এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। তথ্যে বলা হয়েছে গাজা সীমান্ত সংলগ্ন ইসরায়েলের ৪২ শতাংশ অধিবাসী বোমা শেলটার ছাড়াই বাস করছেন এবং ২৪ শতাংশ অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরে যেতে চাইছেন। ইসরায়েলের বিভিন্ন সংগঠন ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেও সীমান্ত যে আর নিরাপদ নয় সে দাবি তুলেছেন। দুটি এলাকায় অন্তত ৭ হাজার ইসরায়েলি নাগরিক গাজা সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বাস করছেন। গাজায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ইসরায়েলি বিমান হামলায় হতাহতের ঘটনায় ইদানিং হামাসের পক্ষ থেকে পাল্টা আঘাত হানা হচ্ছে। লেবানন থেকে একই কারণে রকেট এসে পড়েছে ইসরায়েলের সীমান্তের অভ্যন্তরে। মিডিল ইস্ট মনিটর
গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের ভূমি জোরজবরদস্তি করে দখলের পর ইসরায়েলি নাগরিকদের জন্যে বসত গড়ে উঠেছে। এমন বসতি রয়েছে গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও। অথচ গাজার একমাত্র ইয়াসির আরাফাত বিমানবন্দরটি রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। মিসরের সঙ্গে এবং ইসরায়েলের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে গাজার স্থলসীমান্তে যাতায়াত। তাই অধিকাংশ যাতায়াত করতে হয় গাজাবাসীদের সুরঙ্গপথ দিয়ে যার অনেকগুলো বোমা উড়িয়ে বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল।