শিরোনাম
◈ চট্টগ্রাম বন্দরে সাইফ পাওয়ার টেকের যুগের অবসান, এনসিটির দায়িত্বে নৌবাহিনী ◈ ১ ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজের খেলায় তালেবান, পেছনে চীন-রাশিয়া-ইরান-ভারত! ◈ পাকিস্তানকে ঠেকাতে গিয়ে ভারতে বন্যা, তোপের মুখে কঙ্গনা (ভিডিও) ◈ ৫ আগস্ট লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার জাতীয় সংসদ: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ গাজীপুরে মহানগর বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার ◈ দেশের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় জনগণ ঐক্যবদ্ধ : মির্জা ফখরুল ◈ রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ’ ওসি, আটক করে ‘চাঁদা দাবি’ ছাত্রদল নেতার, সিসিটিভির ফুটেজ ফাঁস ◈ আর একটি হত্যাকাণ্ড ঘটলে সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ: হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের ◈ ধামরাইয়ে ঋণ দেওয়ার কথা বলে গৃহবধুকে ধর্ষণ, আসামী গ্রেফতার ◈ গাজীপুরে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার বিএনপি নেতা স্বপন

প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর, ২০১৯, ০৬:২০ সকাল
আপডেট : ০৯ নভেম্বর, ২০১৯, ০৬:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাত নভেম্বর : বাসদের জন্ম-স্মৃতি ও মঈন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুর শোক

 

মাসুদ রানা : বাসদের প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো ১৯৮০ সালের ৭ নভেম্বর। দিনটি একই সঙ্গে রুশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের দিবসও বটে। ফলে বিশ্বের যেখানেই থাকি না কেন, তারিখটি ভুলতে পারি না। সাত নভেম্বর ১৯৮০ সালের ৭ নভেম্বরের কথা ভাবছিলাম আমার প্রাত্যহিক বাংলাদেশ-ভাবনার অংশ হিসেবেই। আর তখনই বাংলাদেশের একাধিক অনলাইন পত্রিকায় জানতে পেলাম, মঈন উদ্দীন খান বাদল - সেই বাসদের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য ও অধুনা বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি- আর নেই। এখনও যাঁরা বাসদ করছেন, তাদের অনেকেই শোক প্রকাশ করতে লক্ষ করছি। এক সময়ে একত্রে রাজনীতি করার স্মৃতিকাতরতায় যারা মইন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন, তারা সঠিক কাজটিই করছেন।

আমিও আন্তরিকভাবে শোক প্রকাশ করছি। মানুষের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করলে কোন আদর্শের কী জাত যায় জানি না, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা ও দানবীর জাসদ-বাসদের নেতা আব্দুল্লাহ সরকারের মৃত্যুতে স্বঘোষিত শ্রেষ্ঠ আদর্শবাদীদের শোক প্রকাশ না করা যে তাদের নীচুতা ছিলো তা আমি তখনো বলেছি এবং এখনো বলছি। সব নেতাকেই একদিন না একদিন মরতেই হবে। মৃত্যুকালে ভিন্নমতের হলেও জীবনের কোনো এক সময়ে একসঙ্গে সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন লালনের স্মৃতি তর্পে যদি পুরোনো সাথীর চির-বিদায়ে শোক জানানো হয়, তাতে ভালো ছাড়া মন্দের কী ছিলো, তা আমার বোধে আসেনি। ১৯৮৩ সালের ২৯ মার্চ বাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগের কাউন্সিলে আফম মাহবুবুল হক ও মঈন উদ্দীন খান বাদল এসেছিলেন। তখন দলের মধ্যে ভাঙন প্রক্রিয়া চলছিলো মাহমুদুর রহমান মান্নার অব্যাহতি নিয়ে, আর সেদিন মাহবুবুল হক ছিলেন অব্যাহতির পক্ষে আর মঈনউদ্দীন খান বাদল ছিলেন বিরুদ্ধে।

কেন্দ্রীয় কমিটিতে আমরা অধিকাংশই ছিলাম মাহমুদুর রহমান মান্নার অব্যাহতির পক্ষে। সেদিন (রাতে) মঈন উদ্দীন খান বাদল বোধগম্য কারণেই একটি কথা বলেছিলেন ইংরেজিতে, যা আমার মতো সেখানে উপস্থিত সকলেরই মনে থাকার কথা : Comrade, this is not a question of majority and minority; this is a question of upholding the truth! (সাথীরা, এটি সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘুর প্রশ্ন নয়, এটি হচ্ছে সত্যকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরার প্রশ্ন)। মঈন উদ্দীন খান বাদল সত্যকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে পেরেছিলেন কিনা জানি না, কিন্তু তার সে-কথাটি যে আমার মনে দাগ কেটেছিলো, সেটি আজ তার প্রয়াণে গভীর অনুভূতির সঙ্গে স্মরণ করছি। ৭ নভেম্বর ২০১৯, ল-ন, ইংল্যা-। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়