বিভুরঞ্জন সরকার : বুয়েটের একজন ছাত্রকে ‘শিবির’ সন্দেহে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এই দুষ্কর্মটি করেছে নাকি ছাত্রলীগ। শিবির করলে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলতে হবে কিংবা ফেসবুকে কেউ কোনো অপছন্দের স্ট্যাটাস দিলে তাকে হত্যা করতে হবে এমন স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নেয়ার ঔদ্ধত্য কারও হয় কি করে? ছাত্রলীগ আর কবে ভালো হবে? চাঁদাবাজি থেকে হত্যাকা-। থামছে না। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বদলিয়ে যে কোনো লাভ নেই সেটা বোঝা গেলো। ছাত্র রাজনীতিকে কলুষমুক্ত করার জন্য একটি কঠিন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ছাত্র রাজনীতির পক্ষে ওকালতি করে, ছাত্র আন্দোলনের অতীত ঐতিহ্যের ধুয়া তুলে বর্তমানকে জাস্টিফাই করা অর্থহীন। কোনো ছাত্র সংগঠনের পরিচয় যেন কোনো ছাত্র দিতে না পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। না মাথা ব্যথার ওষুধ মাথা কেটে ফেলা অবশ্যই নয়। আবার হাত বুলিয়েও প্রচ- মাথা ব্যথা দূর করা যায় না। ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চার পরিধি বাড়িয়ে ছাত্র সংগঠনের অন্য সব তৎপরতা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।
আমাদের সমাজে নানা দ্বন্দ্ব ও স্ববিরোধ দেখা যাচ্ছে। নিষ্ঠুরতা, হিংস্রতা সীমা ছাড়াচ্ছে। তুচ্ছ কারণে একজন আরেকজনকে হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করছে না। আবরারকে যারা পিটিয়ে মারলো তারা কারা? কোন পরিবারে, কোন পরিবেশে, কোন শিক্ষায় তারা বেড়ে উঠেছে। দেশের সেরা বিদ্যাপীঠের মেধাবী শিক্ষার্থী কীভাবে ‘খুনি’ হয়ে উঠছে, এর দায় কার বা কাদের? আমরা কেউ কি দায়মুক্ত? এ আমার, এ তোমার পাপ। নির্বাচিত মন্তব্য : সিরাজুল ইহসান নিশ্চিত করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও তদন্ত সংস্থা এবং আদালত। তাই দায়িত্বশীল মানুষ ও সাংবাদিক হিসেবে বিভু দা সতর্কমূলক শব্দ ‘নাকি’ ব্যবহার করেছেন। ধন্যবাদ বিভু দা সুন্দর পোস্ট দেয়ার জন্য। আসলে মাথার দুজনকে বাদ দিলে কী হবে? পুরো শরীরে যখন ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে। লেখক : গ্রুপ যুগ্ম সম্পাদক, আমাদের নতুন সময়