নূর মাজিদ : মিশরের তীব্র প্রতিবাদ স্বত্বেও ৩ হাজার বছর পুরোনো বালক সম্রাট তুতেনখামেনের একটি মূর্তির মাথা গত সপ্তাহে ৬০ লাখ ডলারে বিক্রি করেছে ক্রিস্টি নিলাম সংস্থা। যার প্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক নিলাম সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে পুরাকীর্তিটি দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিচ্ছে মিশরীয় কতৃপক্ষ। গত বুধবার মিশরের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কর্মকর্তাদের বরাতে ফরাসি বার্তা সংস্থা এপি বিষয়টি নিশ্চিত করে। সূত্র : গ্লোবাল নিউজ।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ জানায়, ক্রিস্টি গত সপ্তাহে ৪৭ লাখ পাউন্ড বা ৫৯ লাখ ডলারে ধূসর রঙয়ের দুর্লভ ওই কোয়ার্টজ পাথরের তৈরি তুতেনখামেনের মূর্তির মাথা বিক্রি করেছে। দেশটির চুরি বা লুট হয়ে যাওয়া প্রত্নতত্ত্ব ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করে ন্যাশনাল কমিটি ফর অ্যান্টিকিউটিজ রিপ্যাট্রিশন। কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ক্রিস্টির বিরুদ্ধে মামলা করার জন্যে একটি ব্রিটিশ ল-ফার্মের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। তাদের আরো অভিযোগ, মূর্তিটি মিশর থেকে পাচার হয়েছে। তাই বারবার মূর্তিটির মালিকানা এবং উৎসের বৈধ কাগজপত্র দেখানোর অনুরোধ সত্তে¡ও ক্রিস্টি তা দেখাতে পারেনি। তাই এই বিষয়ে সাহায্যের জন্যে ইন্টারপোলের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এদিকে ক্রিস্টি মূর্তিটি কেনা-বেচার প্রক্রিয়ায় কোন ধরণের অবৈধ লেনদেন বা পাচারচক্রের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করেছে। নিলাম সংস্থাটির এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, তারা স্পর্শকাতরতার কারণেই পুরাকীর্তিটির লেনদেন প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ বৈধ উপায়েই করেছে।
তবে ক্রিস্টির দাবী অস্বীকার করে মিশর পুরাকীর্তি কতৃপক্ষ পাল্টা অভিযোগ করে বলেছে, ব্রিটিশ প্রশাসন তাদের অভিযোগ স্বত্বেও এই নিলাম বন্ধের উদ্যোগ না নিয়ে চরম ব্যর্থতা ও দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে।
প্রাচীন মিশরের রাজাদের ভেতরে সবচেয়ে বিখ্যাত ছিলেন বালক রাজা তুতেনখামেন। আলোচিত মূর্তিটিতে সূর্য দেবতা আমুনের প্রতিচ্ছবি তুতেনখামেনের চেহারায় ফুটিয়ে তোলা হয়। যার ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক মূল্য অপরিসীম, দাবী পুরাতত্ব বিশেষজ্ঞের।