শিরোনাম
◈ নুর ইস্যুতে গণঅধিকার পরিষদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ◈ কঠিন সমীকরণের সামনে বাংলাদেশ সুপার ফোরে যেতে ◈ গত অর্থবছরে ব্যয় সংকোচনে সরকারের ৫৬৮৯ কোটি টাকা সাশ্রয় ◈ মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য: প্রধান উপদেষ্টা ◈ যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ কমাতে চায় সরকার ◈ ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ ◈ মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ঢাকা আসছে আজ ◈ চীনা দূতাবাস কর্মকর্তাদের দক্ষিণ এশিয়ায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ, ভারতকে সতর্ক থাকার আহ্বান তিব্বতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাংয়ের ◈ সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, সেই ফারিয়াসহ তিনজন কারাগারে ◈ ক্যালিফোর্নিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে তামাকের মতো সতর্কবার্তা প্রদর্শনের বিল অনুমোদন

প্রকাশিত : ২০ জুন, ২০১৯, ০৯:৩১ সকাল
আপডেট : ২০ জুন, ২০১৯, ০৯:৩১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিজ বাড়িতে ফিরতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন তুরিন আফরোজের মা-ভাই

এস এম নূর মোহাম্মদ : আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের মা সামসুন নাহার তসলিম নিজ বাড়িতে ফিরতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে ল’রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন তুরিন আফরোজের ছোট ভাই শাহনেওয়াজ শিশির।

সামসুন নাহার বলেন, `আজ দুই বছর তিন মাস ১৯ দিন ধরে আমি আমার বাসার বাইরে। আমার স্বামী মারা যাওয়ার ১৮ দিন পর আমাকে বাসা থেকে বের করে দেয় তুরিন। আমার দোষ, তার কিছু আচরণের প্রতিবাদ করা। আমার স্বামী অবসরে যাওয়ার পর থেকেই বাড়ি ভাড়ার টাকায় আমাদের সংসার ও ওষুধের খরচ চলতো। কিন্তু ওর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তুরিন বাসা ভাড়ার টাকা জোর করে নিয়ে নেয়। অপরিচিত লোকদের রাত-বিরাতে ঘরে প্রবেশ করানো নিয়ে দারোয়ান ও ভাড়াটিয়ারা অভিযোগ করলে তুরিনের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া লাগতো। এসব বিষয়ে নিষেধ করলে ডিজিএফআই, র‌্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম করে সে ভয় দেখাতো এবং বলতো— ওরা সবাই তার বন্ধু।’
সামসুন নাহার বলেন, ‘আমি গ্রামের বাড়ি নীলফামারী যেতে পারি না। সে (তুরিন) সেখানকার দায়িত্ব নিয়ে জমিজমা ও বাড়ি নিজের নামে কুক্ষিগত করেছে। প্রতিবাদ করলে কথায় কথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানার প্রসঙ্গ টানতো। এসব জানাতে আমি প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে ব্যর্থ হই। আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই। আমি মিডিয়ার মাধ্যমে তার সহযোগিতা কামনা করছি।’

‘আমার শরীর ভীষণ খারাপ। ৬৫ শতাংশ কিডনি অকেজো। সঙ্গে ডায়াবেটিস আছে। দেশে থাকার জায়গা নেই। দেশ ছেড়ে এ বয়সে কেন বিদেশে পড়ে থাকবো? এ দেশ আমার জন্মস্থান ও আমার ৪৮ বছরের সংসার। আমি আমার সংসারে ফিরে যেতে চাই।’

তুরিন আফরোজের ছোট ভাই শিশির বলেন, ‘ক্ষমতার দাপটে তুরিন আফরোজ আমাকে এবং আমার বিধবা মাকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানি করে আসছেন। তার কারণ হলো, আমাদের সম্পদ কুক্ষিগত করা। চক্ষুলজ্জায় এতোদিন বিষয়টি আড়াল করে রেখেছি। আমি ও আমার অভাগিনি মা ক্ষমতাসীন কাউকে অবমাননা করতে চাইনি।’

সম্পাদনা: অশোকেশ রায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়