শিরোনাম
◈ মুগদায় ডিএসসিসির ময়লার গাড়ির ধাক্কায় কিশোর নিহত ◈ বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া মে মাসে, নজর রাখবে ভারত ◈ দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু: চুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, যান চলাচল শুরু ◈ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ভারত, চীন বা রাশিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত নয়: মার্কিন কর্মকর্তা ◈ সিলেটে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২ ◈ থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ ◈ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় ◈ শিক্ষক নিয়োগ: ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি, ঢাবি শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার ৫ ◈ বিদ্যুৎ-গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না ◈ নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

প্রকাশিত : ১২ জুন, ২০১৯, ০৮:২০ সকাল
আপডেট : ১২ জুন, ২০১৯, ০৮:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাব্বানীর ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত

সালেহ্ বিপ্লব : গত কয়েক দিন ধরে বিএসএমএমইউতে ২০০ মেডিকেল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার ফল বাতিল ও উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন আসছেন পরীক্ষার্থীরা। গত ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত ২০০ জন চিকিৎসক নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল গত ১২ মে দুপুরে প্রকাশ হয়। পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পরপরই দুর্নীতির অভিযোগ এনে অর্ধশতাধিক চিকিৎসক বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা কয়েক দফা উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করেন।

আন্দোলনকারীদের দাবি, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। উপাচার্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের স্বজনদের নিয়োগ দেয়ার জন্য পরীক্ষার ফলে টেম্পারিং করা হয়েছে।

এই বিষয়ে মতামত জানিয়ে সোমবার ফেসবুকে লিখেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে অতীত এর সকল ইতিহাস ভেঙে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের উপর ভিসি স্যারের প্রত্যক্ষ মদদে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আজকের এই হামলায় প্রায় ১৫ জন নবীন চিকিৎসক গুরুতর আহত হয়েছে।

নবীন চিকিৎসকদের আন্দোলন ও হামলার খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতার কারণগুলো শুনে আমারও মনে হচ্ছে, তাদের দাবি সঠিক। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০ জন মেডিকেল অফিসার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি হয়েছে, সেটা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত। অবশ্যই এই পরীক্ষার রেজাল্ট বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণ করা উচিত বলে আমি মনে করি।

কারণ–

১. ভিসি স্যার এর ছেলে পরীক্ষার্থী কিন্তু তিনি এই নিয়োগ কমিটির সভাপতি, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম পরিপন্থী।

২. কন্ট্রোলার স্যার এর মেয়ের জামাই পরীক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও তিনি পরীক্ষার নিয়ন্ত্রক। এছাড়াও নিয়োগ কমিটির অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আত্মীয় স্বজন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, যা স্বজনপ্রীতির মোড়কে দুর্নীতির নজিরবিহীন বহিঃপ্রকাশ।

৩. ডেন্টালের পরীক্ষার্থীর এমবিবিএস এর প্রশ্নে পরীক্ষা প্রদান।

৪. বয়সসীমা ৩২ বছর হওয়া সত্ত্বেও ৩২ বছরের ঊর্ধ্বে অনেকেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং ৩৮ বছর বয়সী একজন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।

৫. রোল নং-৭১৩০৩ তে পরীক্ষা দিয়েছেন একজন ছেলে কিন্তু একই রোলে একজন মেয়েকে মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ করা হয়েছে।

সাধারণ চিকিৎসকদের এই যৌক্তিক দাবিগুলোর সঠিক সমাধান না করে তড়িঘড়ি করে মৌখিক পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করার উদ্দেশ্য কী? যৌক্তিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে লাঠিচার্জ করার কারণ কি??

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পরিবার সকল ন্যায্য দাবি ও যৌক্তিক আন্দোলনের সাথে ছিল এবং থাকবে।”

রাব্বানীর ফেসবুক স্ট্যাটাসের পরদিনই, গতকাল মঙ্গলবার চিকিৎসক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা বাতিল করেছে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়