কেএম নাহিদ : সীমাহীন অব্যবস্থাপনার ফাঁদে রাষ্ট্রীয় পাটকল। প্রয়োজনের চেয়ে দ্বিগুন শ্রমিক পুষতে গিয়ে উৎপাদন খরচের অর্ধেক যাচ্ছে মজুরির পেছনে। সর্বশেষ অর্থ বছরে যার পরিমান ছিলো প্রায় সাড়ে ৬ শত কোটি টাকা। অথচ পাট বিক্রি হয়েছে মাত্র ১১শত কোটি টাকা। বিজেএমসি’র চেয়ারম্যান বলছেন বাধ্য হয়ে যেতে হবে কাজের বিনিময়ে মজুরির দিকে। আর বিশ্লেষকরা বলছে অনিয়ম ঠেকাতে বন্ধ করতে হবে অনিয়ম দুর্নিতি। চ্যানেল ২৪
এক সময়ের সোনালী আঁশ সুনাম কুড়ালেও এখন নানা মুখি সমস্যা জর্জরিত আছে এ শিল্প। বিশে^ উৎপাদনে বাংলাদেশ দ্বিতীয় হলে ও বাড়ছে দু:শ্চিন্তা। যার উৎস সরকারি পাটকলগুলোর দীর্ঘ দিনর অব্যবস্থাপনার অদক্ষতার দুর্নীতি আর নানা মুখি রাজনৈতিক চাপ ।
সরকারি পাটকলে লোকসানের প্রধান কারন অতিরিক্ত শ্রমিকের পেছনে অস্বাভাবিক খরচ। যেমন ২০১৭-১৮সালে ৩৯হাজার স্থায়ী পদ থাকলে, বদলি এবং মৌসুম মিলিয়ে কাজ করেছেন, ৬১ হাজারেরও বেশি যারা মজুরি নিয়েছে ৬শত৩৯ কোটি টাকা। অথচ উপাদিত পণ্যের বাজার দাম ছিলো সাড়ে ১৩শত কোটি টাকা। বিক্রি হয়েছে আরো ২০০ কোটি টাকা কমে। অথাৎ যা বিক্রি হয়েছে তার ৫৫শতাংশ গেছে শ্রম মজুরিতে। অথচ অর্থনীতির সরল সূচকে উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানে এর হার রাখা উচিত ১০ থেকে ১৫ শতাংশ।
এই মুজুরি গণনার পরও বাড়েনি উৎপাদন। সক্ষমতা অনুযায়ী পণ্য উৎপাদন করতে না পারায় একই মৌসুমে লোকসান হয়েছে ১০৮৩ কোটি টাকা । আবার বাজারের চেয়ে বেশি টাকায় কাঁচা পাট কেনায় গুনতে হচ্ছে মোট লোকসান। সবশেষ অর্থ বছরের ১৫০ কোটি টাকা লোকসান দিতে হয়েছে। সিবিআই মিটিংয়ে, আন্দোলনে, সামজিক দায়বদ্ধতার মত অন উৎপাদন মূলক কাজে। এছাড়া সর্ব শেষ পাট বিক্রিতে আয় ১৭শ কোটি টাকা থেকে নেমে গেছে সাড়ে ১১শ কোটিতে।
বিজেএমসির চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ নাছির বলেন, স্থায়ী শ্রমিক দের বাধ্যতামুলক মজুরি দিতে হয়, সেকাজ করুক আর না করুক তাতে মজুরি দিতে হবে। সে হাজিরা দিলেই তার মজুরি দিতে হবে। বেসরকারি মিলের সঙ্গে পাল্লাদিতে বিজেএমসি পারছেনা। বিজেএমসি নিজস্ব একটা ফান্ড থাকা দরকার শুধু পাট ক্রয় করার জন সরকারে কাছে বার বার চাইতে গিয়ে ও আমরা ধাক্কা খেয়েছি। এজন্য বিজেএমসি নিজের পায়ে দাঁড়তে পারছে না।
সিপিডি’র পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. খেন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, মনে রাখতে হয় শ্রমিক কমিয়ে দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের মরে রাখতে হবে, শ্রমিক সমস্যার পর অন্য যে সমস্যা আছে তা আরো বড়ো রকমের সমস্যা।
বিশ^ ব্যাংক ঢাকার কার্যালয়ের, লিড ইকোনোমিক ড. জাহিদ বলেন, মজুরি বিলের অসামাঞ্জস্যতা দূর করতে হবে। টোটাল খরচের বেশি হওয়া অস্বাভাাবিক। অপ্রয়োজনীয় শ্রম থাকলে প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপ পড়বেই। সম্পাদনায়: কায়কোবাদ মিলন