বিনোদন প্রতিবেদক : প্রয়াত চিত্রপরিচালক জহিরুল হকের নির্মাণ করেছিলেন ‘তুমি আমার’ শিরোনামের সিনেমাটি। এ ছবিতে প্রথমবার জুটি বেঁধে অভিনয় শুরু করেন প্রয়াত সালমান শাহ ও শাবনূর। ছবিটির কথা হয়তো সবারই মনে আছে। কারণ এই ছবিতে সালমান শাহ শাবনূরের রসায়নটা সবারই জানা। নব্বই কিংবা দুই হাজার বা বর্তমান প্রজন্মের কাছেও ব্যাপক পরিচিতি নাম সালমান শাহ।
সে সময় এই ছবিতে কালজয়ী গান জ্বালাইয়া প্রেমের বাত্তি কোথায় তুমি থাকো রে’ সবার মন কেড়ে নেই। ছবিটি মুক্তির পর হলে দর্শকদের উপছে পড়া ভিড়। যখন রুপালি পর্দায় কালজয়ী এই গান চিরসবুজ গায়ক কুমার বিশ্বজিৎ এর কন্ঠে গাওয়া নিয়ে মঞ্চে ব্যান্ড নিয়ে গায়ক সালমানের উচ্ছ্বাসভরা পারফর্ম আজও মুগ্ধতা দিয়ে যায়।
নব্বই দশকের তরুণদের মনে নতুন করে দাগ কেটেছিলো এ গানটি। এ ছবিতে অবশ্য এই গানটি ছবিতে স্যাড ভার্সনেও ব্যবহৃত হয়েছে। প্রেমের বিরহে জ্বলতে থাকা শাবন‚রের জন্য গানটি গেয়েছিলেন কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা।
‘তুমি আমার’ মুক্তির রজত জয়ন্তী হয়ে গেল গতকাল বুধবার। ১৯৯৪ সালের ২২ মে ঈদের সিনেমা হিসেবে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবিটি। ঈদের তুমুল সুপারহিট ছবি হিসেবে এটি নাম লেখাতে সক্ষম হয়।
তখন তারণ্যের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন এই জুটি। সেই জুটিকে দেখতে ঈদের ছুটিতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়লেন সিনেমা হলে। দর্শক জনপ্রিয়তা পায় এই জুটি। এ ছবি থেকে শুরু করে মোট ১৪টি সিনেমায় একসাথে কাজ করে এই দর্শকপ্রিয় জুটি। সালমান-শাবন‚র জুটির স্বপ্নের যাত্রা। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে আজ অমরত্ব নিয়ে আছে সালমান শাহ শাবনূর জুটি। আজও এই জুটি খুবই জনপ্রিয়। উপহার দিয়েছেন ‘সুজন সখী’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘তোমাকে চাই’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘শুধু তুমি’ ইত্যাদি।
আজ দেখতে দেখতে এই জুটির বয়স ২৫ বছর পার হয়ে গেলো। তবে নিরাশা থেকেই গেলো। ছবির সেই জনপ্রিয় নায়ক আজ পৃথিবীতে নেই। সময়ের সেরা জুটির রজক জয়ন্তীর অনুভ‚তিটুকু জানাটাও তাই রয়ে গেলো বাকি। এই ছবির সঙ্গে জড়িত অনেকেই আজ আর পৃথিবীতে বেঁচে নেই। নেই সালমান শাহ , নেই পরিচালকও। তবে রয়েছেন শাবণুর কিন্তু তিনিও রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। প্রিয় নায়কের সঙ্গে জুটি বাঁধার রজত জয়ন্তীতে তার অনুভ‚তিও পাওয়া গেল না। তবে স্মৃতির জানালা খোলে দিয়েছেন নন্দিত কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘কী অদ্ভ‚ত, ২৫টা বছর পেরিয়ে গেল সালমান শাহ’র জন্য ‘জ্বালাইয়া প্রেমের বাত্তি কোথায় তুমি থাকো রে’ গানটি গেয়েছিলাম। তার মানে জীবন থেকেও ২৫টি বছর চলে গেল! আহা! কালজয়ী সব গান গাওয়ার সেই দিনগুলো সোনায় মুড়ানো থাকবেন চিরদিন।
আপনার মতামত লিখুন :