ইউসুফ বাচ্চু : নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগসহ দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হচ্ছেন। গত শুক্রবার জাতীয় পার্টির মহানগরের কর্মী ও দলের ফটোগ্রাফার আল আমিনের জানাজায় কাকরাইল অফিসে তাকে দেখা যায়। দলের একাধিক দায়িত্বশীল নেতার মতে, এরশাদের অসুস্থতার সুযোগে অনেকেই তাকে দিয়ে বিতর্কিত কাজ করিয়েছে। এরফলে দল ভাঙ্গনের মুখে পড়তে পারে ভেবে আবার সক্রিয় হচ্ছেন তিনি। দলকে গতিশীল করেছেন। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা জাতীয় পার্টিকে বিতর্কিত করে জনগণের কাছে ভুলভাবে উপস্থাপন করে দিনে দিনে দলটাকে শেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে মনোনয়ন বাণিজ্যের অজুহাতে দলের মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় হাওলাদারকে। এরপর লোক চক্ষুরান্তলে চলে যান তিনি। কিছুদিন হলো তিনি দলীয় বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ নিচ্ছেন।
জাতীয় পার্টির এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, তিনি আমাদের সকলের নেতা। দীর্ঘদিন তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। অনেক কর্মী তৈরী করেছেন। মুলত দলের প্রায় কর্মী তার হাতে সৃষ্টি। তিনি সক্রিয় হলে দলের লাভ।
পার্টির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, রুহুল আমিন হাওলাদার একজন সফল মহাসচিব। এক সময় চেয়ারম্যানের দক্ষ সেনাপতির মতো নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছিলেন। আজ সেই সেনাপতিকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করলেও জাতীয় পার্টির কেউ প্রতিবাদ করেনি, এমন কি তার পাশে দাঁড়াতেও ভয় পায়, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে দল বাঁচাতে তাকে দায়িত্ব নিতে হবে। কেননা দলের সকল নেতাকর্মী তাকে যেমন মানে তেমনি নেতাকর্মীরাও তাকে ভালবাসেন।
এবিষয় রুহুল আমীন হাওলাদার বলেন, আমি তো দল ছেড়ে যাইনি আর যাবোও না। স্যার যদি মনে করে আমাকে প্রয়োজন তখন আবার দলের স্বার্থে কর্মীদের পাশে দাঁড়াবো। এর বাইরে কোন মন্তব্য করতে চাই না।
আপনার মতামত লিখুন :