শিরোনাম
◈ লোহাগড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু ◈ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস  ◈ জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টানা চার জয় বাংলাদেশের ◈ বন্দি ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের তথ্য-ছবি ফাঁস ◈ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আন্দোলন ঠেকাতে দমনপীড়ন, নিন্দা জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ গাজার রাফাহজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও বোমাবর্ষণ ◈ কোনো ভর্তুকি ছাড়াই নিজস্ব আয় থেকে উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করছে বিমান ◈ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা শেষ, এখন চলবে ফাইজার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ অবসরের পর দুবোন মিলে টুঙ্গিপাড়ায় থাকবো: প্রধানমন্ত্রী (ভিডিও) ◈ শাহ আমানতে এয়ার এরাবিয়ার বিমানে ব্রেকে ত্রুটি, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ২০০ আরোহী

প্রকাশিত : ১১ মে, ২০১৯, ১২:০৪ দুপুর
আপডেট : ১১ মে, ২০১৯, ১২:০৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাঘের সংখ্যা বাড়ছে সুন্দরবনে

তানজিনা তানিন : “বাঘ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। বাঘের সংখ্যা প্রকাশ করবে সরকার। তবে বাঘের সংখ্যা বাড়তে পারে।”
আগামীকাল রবিবার ২৯ জুলাই দেশে ৮ম বারের মতো পালিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব বাঘ দিবস। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে ‘বাঘ প্রকল্প’ ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে গণনা শুরু করে। মাঠ পর্যায়ের প্রাথমিক এ কাজ মে মাসে শেষ হয়। ফলাফল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। ফলে বাঘের সংখ্যা বাড়বে না, কমবে-সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোন তথ্য জানা যাচ্ছে না।
তবে, সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন বাঘের সংখ্যা বাড়তে পারে। বাঘ প্রকল্পের গবেষণা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মোজাহিদ বলেন, “বাঘ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। বাঘের সংখ্যা প্রকাশ করবে সরকার। তবে বাঘের সংখ্যা বাড়তে পারে।”
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ মদিনুল আহসান বলেন, “বাঘ শুমারীর মাঠ পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। প্রতিবেদন তৈরি করতে সময় প্রয়োজন। বাঘ সংরক্ষণে মনিটরিং, টহল ব্যবস্থা জোরদার এবং বনরক্ষীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।”

বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী,২০০৪ সালের গবেষণায় সুন্দরবনে বাঘ ছিল ৪৪০টি। ২০১৫ সালে ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ গণনা করা হয়। এতে ১০৬ টি বাঘের নমুনা পাওয়া যায়। ২০১৬ সালে আমেরিকার দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি অর্থায়নে বাঘ প্রকল্পের মাধ্যমে ক্যামেরার সাহায্যে এ গণনা করা হয়। খুলনা বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এ প্রকল্পকে জনবল ও ৭০টি ডিজিটাল ক্যামেরা সরবরাহ করে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাঘ প্রকল্প ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ গণনার কাজ শুরু হয়। মে মাসে মাঠ পর্যায়ের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রকল্পে সুন্দরবনের তিনটি অভয়রণ্য এলাকায় বাঘের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
পশ্চিম বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ বশিরুল-আল-মামুন বলেন, “বাঘ শুমারী একটা কঠিন কাজ। আধুনিক পদ্ধতিতে গণনা করা হচ্ছে। প্রতিবেদন প্রকাশ না হলে কিছুই বলা যাচ্ছে না।”

উল্লেখ্য,২০১০ সালের জানুয়ারিতে থাইল্যন্ডের হুয়ানে অনুষ্ঠিত হয় টাইগার রেঞ্জ দেশ সমূহের ‘এশিয়া মিনিস্ট্রয়াল কনফারেন্স’। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত হয় প্রতি বছর ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস পালিত হবে। সম্মেলনে বাঘ সংরক্ষণে নয় দফা পরিকল্পনা গৃহীত হয়। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ২০২০ সালের মধ্যে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করা।

২৯ জুলাই সকাল ১০টায় শহীদ হাদিস পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য র্যা লির পরে খুলনা অফিসার্স ক্লাবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। সূত্র : বাংলা ট্রিাবউন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়