শিরোনাম
◈ ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ৬ জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন, দুজনের মৃত্যু ◈ ভেস্তে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে যুদ্ধবিরতি: গাজায় ‘শক্তিশালী’ হামলা চালানোর নির্দেশ নেতানিয়াহুর ◈ সোনার দাম একলাফে কমলো সাড়ে ১০ হাজার টাকা ◈ ইতালিতে রেসিডেন্স পারমিট পাওয়ায় শীর্ষ তিনে বাংলাদেশিরা ◈ গাজায় ইসরাইলপন্থী পক্ষপাতের অভিযোগে নিউইয়র্ক টাইমস বয়কটের ঘোষণা ১৫০-রও বেশি লেখক ও শিল্পীর ◈ বিপুলসংখ্যক জামিন প্রশ্নে তিন বিচারপতির কাছে কোনো ব্যাখ্যা নয়, তথ্য চাওয়া হয়েছে: সুপ্রিম কোর্ট ◈ ক্ষোভে জ্বলছে ভারতীয়রা : পাক জেনারেলকে ড. ইউনূসের দেওয়া উপহারের মানচিত্রে ভারতের সাত রাজ্য! ◈ জটিলতা কাটেনি গণভোটের সময় নিয়ে, দুই মেরুতে বিএনপি-জামায়াত ◈ কতটুকু জায়গা ছাড়তে হয় বাড়ি করার সময়, জেনে নিন আইনে কী আছে ◈ লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৪ বাংলাদেশি

প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল, ২০১৯, ০৩:২২ রাত
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০১৯, ০৩:২২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আফসান চৌধরী বললেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে রাজনৈতিক সামাজিক ও মালিকানাগত দিক থেকে বিবেচনা করা উচিত

আমিরুল ইসলাম : এ বছর গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে ৪ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর থাকা ১৪৬তম থেকে এ বছর বাংলাদেশের অবস্থান ১৫০তম। প্রতি বছর বিশ^জুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে এ সূচক প্রকাশ করে থাকে রিপোর্টার উইদাউট বর্ডার। এ বছর ১৮০টি দেশের মধ্যে গবেষণা চালিয়ে এ সূচক তৈরি করা হয়েছে। সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সব দিকে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এ বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আফসান চৌধুরী বলেছেন, পশ্চিমারা শুধু রাজনৈতিক ভিত্তিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিবেচনা করে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে শুধু রাজনৈতিকভাবে বিবেচনা করা উচিত নয়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সামাজিকভাবেও বিবেচনা করা দরকার। আমাদের দেশের গণমাধ্যমের কাঠামোতেই সমস্যা রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের পর্যাপ্ত স্বাধীনতা নেই, তবে আমাদের দেশের গণমাধ্যম কর্মীরাও খুব বেশি দক্ষ নয়। এখনকার গণমাধ্যম কর্মীদের চেয়ে পূর্বের গণমাধ্যম কর্মীদের দক্ষতা বেশি ছিলো। পূর্বে আমাদের দেশে গণমাধ্যমের সংখ্যা কম থাকলেও সেগুলোর মান ভালো ছিলো। আমাদের দেশের সাংবাদিকরা শুধু দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সংবাদ তৈরি করার জন্য ব্যস্ত থাকে। রাজনৈতিক দলগুলোর কাদা ছোড়াছুড়ি বাদে অন্যান্য বিষয়ও যে ভালো সংবাদ হতে পারে, এটা অনেকেই মাথায় নেয় না বা জানেও না। আমাদের দেশে দক্ষ সাংবাদিকের অভাব রয়েছে। চারদিকে শুধু গণমাধ্যমের ছড়াছড়ি। কিন্তু ভালো মানের গণমাধ্যম এখন নেই বললেই চলে। সবাই এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ওপর নির্ভর করে। আমাদের দেশের গণমাধ্যম মালিক কারা? তাদের অর্থের উৎস কী? এ ব্যাপারেও আমাদের কারও মাথাব্যথা নেই। গণমাধ্যমের মালিকানাও অনেক ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করে। মালিকের দ্বারা সংবাদের প্রবাহ অনেক সময় নির্ভর করে। এখন দেশে অনেক টাকার মালিকের অভাব নেই। তারাই নতুন নতুন গণমাধ্যম চালু করছে। কিন্তু সেগুলোর মান একেবারেই ভালো নয়। যার ফলে সাধারণ মানুষ এখন সংবাদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ সাইটের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে দিন দিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়