নূর মাজিদ : ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনার পরে বিশ্বজুড়েই এখন চ্যালেঞ্জের মুখে বোয়িংয়ের বাণিজ্যিক যাত্রী পরিবহনকারী বিমানের ব্যবসা। ইতোপূর্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, সিঙ্গাপুর, কানাডা, ভারতসহ ৪২টি দেশ বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ব্যবহার বন্ধ করার ঘোষণা দেয়। যার সঙ্গে গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রও যোগ দিয়েছে। বুধবার হোয়াইট হাউজে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রা¤প বোয়িংয়ের ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দেন। সিএনএন, বিবিসি
এসময় তিনি বলেন, ‘সকল মার্কিন জনগণের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। যুক্তরাষ্ট্রের সিভিল এভিয়েশন কতৃপক্ষের পূর্ণ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাই আমরা বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের উড্ডয়ন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছি।’
তবে ট্রা¤প তীব্র সমালোচনা ও চাপের মুখে বোয়িংয়ের বিমান গ্রাউন্ডেড করার ঘোষণা দেন। যা মেনে নিয়ে বোয়িং কতৃপক্ষ গতকাল বৃহ¯পতিবার নিজেদের ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের সকল প্রকার উড্ডয়ন বন্ধের ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণার প্রভাবে বৃহ¯পতিবার সকাল নাগাদ মার্কিন পুঁজিবাজারে ২ হাজার ৫শ’ কোটি ডলারের বাজারমূল্য হারায় বোয়িং। ফলে বিগত তিনদিনে কো¤পানিটি তার মোট বাজারমূল্যের ১০ শতাংশ হারালো।
শেয়ারের দরপতন এবং দেশে-বিদেশে সমালোচনার মুখে এখন বোয়িং তীব্র ইমেজ সংকটে ভুগছে। এই অবস্থা কাটিয়ে ওঠার আগেই বিনিয়োগকারীদের আস্থাও কমছে। এই অবস্থার মাঝেই বোয়িংয়ের শীর্ষ নির্বাহী পরিচালক ডেনিস মুইলেনবার্গ বলেন, ‘আমরা সকল ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমাদের বাণিজ্যিক সহযোগী, তদন্ত কর্মকর্তা এবং প্রকৌশলীদের সঙ্গে নিয়ে আমরা এই সংকট নিরসনে চেষ্টা করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে যে কোন দুর্ঘটনা এড়াতে বোয়িং-৭৩৭ বিমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা হচ্ছে।’
মার্কিন সরকার এবং বোয়িং এমন সময় বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্সের উড্ডয়ন বন্ধের ঘোষণা দেয় যখন ইথিওপিয়ার তদন্তকারীরা দুর্ঘটনার নতুন তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। ইতোপূর্বে, বোয়িং তাদের বিমানে কোন ত্রুটি ছিলোনা বলেই দাবী করে। যদিও গতকাল বোয়িং নির্বাহীর কথায় তাদের অপরাধ ঢাকার চেষ্টা ফুটে উঠেছে।
আপনার মতামত লিখুন :