স্মৃতি খানম: কালের কণ্ঠের নয়াদিল্লির বিশেষ প্রতিনিধি জয়ন্ত ঘোষাল বলেছেন, ভারতের রাজ্যে-রাজ্যে, গ্রামে-গঞ্জে সর্বত্র একই প্রশ্ন, ভারত কি এবার পাকিস্তানকে আক্রমণ করবে? কবে? কিভাবে? কতোখানি? দেখুন মোদি, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং দল তথা আরএসএস সংঘ পরিবার চাইছে ভোটের আগেই পাকিস্তানবিরোধী আক্রমণ। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে ৫ বা ৬ মার্চ নাগাদ লোকসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি নির্বাচন কমিশন জারি করতে পারে। ৩ মার্চ মোদির বিহার সফর। তারপর ৪ মার্চ ভারতের হিন্দুদের শিবরাত্রির অনুষ্ঠান। তারপর ভোট ঘোষণা হলে ৪৫ দিনের সময় দিতে হয় ভোট শুরু করার আগে।
তিনি আরও বলেন, এটাই সাংবিধানিক প্রথা। অনেকের ধারণা, ভোট ঘোষণার পর মার্চ মাসের মাঝামাঝি একটা অ্যাকশন হবে। কারণ দেশজুড়ে ভারতীয় জনমানসে এই দাবি উঠেছে যে পাকিস্তানকে একটা সবক দিতে হবে। এ কথা ঠিক ভারতের বামপন্থী উদারবাদী সমাজ মনে করে, যুদ্ধ দিয়ে সমস্যার সমাধান হতে পারে না। স্থায়ী সমাধানের জন্য চাই দুই পক্ষের আলোচনা। কিন্তু ভোটের আগে আলোচনার কথা বললেও মহাপাপ। শুধু ভারত কেন? আজ ইমরান খান, এমনকি তার সেনাপ্রধানও আলোচনার কথা বলছেন, কিন্তু তিনিও পাকিস্তানের ভোটের আগে মোদি এবং ভারত সম্পর্কে কী কী মন্তব্য করেছিলেন সেটা একবার মনে করুন।
অবশ্য ভারত এবারে বেশ সেজেগুজে আসরে নেমেছে। যেমন ধরুন সৌদি আরবের রাজকুমারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একান্ত বৈঠক এবং যৌথ বিবৃতির কূটনীতি। বেশ চিত্তাকর্ষক। এখানে হায়দরাবাদে রাজকুমারের জন্য মোদি বিশেষ এক মধ্যাহ্ন ভোজের ব্যবস্থা করেছিলেন। ওই ভোজসভায় দেখলাম, মোদি এবং রাজকুমারের রসায়ন যথেষ্ট ইতিবাচক।