জাবের হোসেন: সরকার চায় নতুন অর্থবছরে যে করেই হোক ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করতে। ভ্যাট বাবদ রাজস্ব আহরণ বাড়ানো ও প্রযুক্তিবান্ধব করতে ৭ বছর আগে ২০১২ সালে আইন করা হয়। দফায় দফায় পিছিয়ে আইনটি আগামী অর্থবছর থেকে বাস্তবায়ন করার কথা রয়েছে। কিন্তু অভিন্ন ১৫ শতাংশের বদলে বহুস্তরসহ ব্যবসায়ীদের ৭ দফা দাবির কারণেই মূলত এই দেরি। ডিবিসি নিউজ
শেষ পর্যন্ত বহুস্তরের ভ্যাট হার দিয়েই আগের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী অর্থবছর থেকেই এই আইন বাস্তবায়ণে করতে চায় সরকার। বহুস্তরের ভ্যাট ব্যবস্থা মেনে নিলেও ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগ দাবি নিয়ে এখনো কোনো সমঝোতা হয়নি।
এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন জানান, আমরা এখনো ভ্যাট এসেসমেন্ট স্টাডিস দেখিনি। নানা ক্ষেত্রেই নানা রকম জটিলতা রয়েছে। এই বিষয়েগুলো যদি আমলে নেয়া হয় এবং প্রস্তাবনা দেয়া হয় যে, এই জিনিসগুলো খারাপ ছিল এইগুলোকে বাদ দেয়া হলো বা সংশোধন করা হলো। সেক্ষেত্রে আমরা একটা মতামত দেয়া যেত। তবে আমরা এরকম কোনও প্রস্তাবনা পাইনি।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও তার মত করে প্রস্তুতি সারছে।এনবিআর সদস্য (ভ্যাট নীতি) রেজাউল হাসান জানান, এটা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে যে, অনলাইন ছাড়া আর কোনো নিবন্ধন হবেনা। সবার জন্যই সুযোগ তৈরী করেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ১৫ তারিখের পর থেকে আমরা এর পরীক্ষামূলকভাবে চালু করবো। আশা করি এটা এলটিওতে বাধ্যতামূলক করে দিতে পারবো।
পিআরআই নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, যেসব পণ্য এখন ট্যাক্সের অন্তর্ভুক্ত আছে, সেটাকে যদি বহুস্তরিক করা হয় তাহলে রাজস্ব আহরণ ঘাটতি অনেক বেড়ে যাবে। এখনকার হিসেবে এটা হয়তো ৩০ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ঘাটতি হতে পারে। বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। এখানে নেতৃত্বের এবং প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থার অভাব আছে।
অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর আরো বলেন, ভ্যাট ব্যবস্থা বহুস্তর হলে রাজস্ব আহরণ ঘাটতি বাড়তে পারে ৩০ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত। অবশ্য ক্ষতি পোষাতে ভ্যাট মুক্ত কিছু পণ্যে তুলনামূলক কম হারে ভ্যাট আরোপের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :