রাশিদ রিয়াজ : ‘সুপারফাস্ট’ হিসেবে পরিচিত ব্রডব্যান্ড ফাইভ জি তথ্যপ্রযুক্তির আধুনিক ও নতুন উপকরণ চালু হওয়া শুরু হয়েছে বিভিন্ন দেশে। কিন্ত এ ধরনের ব্রডব্যান্ড ব্যবহারে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, এর ফলে যে ফাইভ জি এ্যান্টেনা বসানো হচ্ছে তা থেকে বিচ্ছুরিত তরঙ্গ মাধ্যম মানবশরীরে ক্যান্সার হতে পারে। এধরনের তরঙ্গ মাধ্যম বন্যপ্রাণিদের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর এমনকি পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র পরিবর্তন করতে পারে। এজন্যে ফাইভ জি প্রযুক্তিকে তারা বিপর্যয়সৃষ্টিকারী হিসেবেও অভিহিত করেছেন। স্টার ইউকে
যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি বিজ্ঞানী ও লেখক আর্থার রবার্ট ফার্স্টেনবার্গ দীর্ঘদিন ধরে এধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের বিরোধিতা করে আসছেন। ১৯৯৬ সালে তিনি ‘সেলুলার ফোন টাস্ক ফোর্স’ নামে একটি প্রচারণা শুরু করেন। তার দাবি ১৯২৭ সাল থেকে টেলিফোন কোম্পানিগুলো এধরনের ক্ষতিকর প্রভাব গোপন করে আসছে। বিশ^স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’এর কাছে অবিলম্বে ফাইভ জি প্রযুক্তি বন্ধে পিটিশন করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, বায়ুম-লে ২০ হাজার উপগ্রহ রয়েছে। এবছরের মাঝামাঝি আরো ১২ হাজার উপগ্রহ পাঠানো হচ্ছে। বিভিন্ন দেশ থেকে ফাইভ জি এ্যান্টেনা ও উপগ্রহের মধ্যেকার তরঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা মানুষের স্বাস্থহানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাখিরা এধরনের তরঙ্গের কারণে উড়তে পারছে না। মৌমাছি মারা যাওয়ায় শস্যে পরাগায়ন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং এতে কৃষি উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটছে। তরঙ্গের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশে রোগাক্রান্ত মানুষের মৃত্যু ৫ থেকে ১০ শতাংশ বেড়ে গেছে। অনেকের পোষা কবুতর উড়ে যাওয়ার পর তরঙ্গে বিভ্রান্ত হয়ে ঘরে ফিরে আসতে পারছে না। অথচ বিশে^র সবাই মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এবং বিষয়টি অপরাধে পরিণত হচ্ছে। কারণ শুধু ক্যান্সার নয়, মোবাইল ফোনের তরঙ্গের কারণে হৃদরোগ, ডায়বেটিসহ প্রাণঘাতি রোগের বিস্তারের অন্যতম কারণ ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক দূষণ।