সৌরভ নূর : ভেজাল খাদ্য প্রতিরেধে খাবার হোটেল ও খাদ্য বিপণীতে মাঝে-মধ্যেই একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত হানা দিয়ে থাকেন। আদালত ঐসকল হোটেল ও দোকানগুলোকে জরিমানাসহ বিভিন্ন সাজা প্রদান করা স্বত্বেও নিয়ন্ত্রণের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। কেন সম্ভব হচ্ছে না জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিমুল মির্জা বলেন, ভেজাল খাবার ছড়িয়ে পড়ার মূল কারণ মানুষের সচেতনার অভাব। একইসাথে একটি সু-সংগঠিত চক্রের পরিকল্পিত প্রভাবের বাস্তবায়ন। অধিকাংশ সময় ক্রেতা কিংবা বিক্রেতা উভয়ই হয়তো জানেন না এই পণ্যে ভেজাল রয়েছে। যিনি বিক্রি করছেন তিনি হয়তো জানেন না এটা কতোটা ক্ষতিকারক। এসকল পণ্য সস্তা বা সহজলভ্য হওয়ায় দোকানীরা ব্যবহারে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। আবার অনেকে লাভের আশায় জেনে-শুনে এই চক্রের সাথে জড়িয়ে পড়েন। এটা দুর্নীতিগ্রস্ত মানসিকতার পরিচায়ক। এই সমস্যাকে পুরোপুরি রোধ করতে হলে প্রথমেই সাপ্লাই চেইন নিষ্ক্রিয় করতে হবে। যেখান থেকে উৎপাদন হচ্ছে সেই জায়গাটাকে আগে চিহ্নিত করে উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। যেমন খাবার হোটেলগুলোতে ভেজাল দ্রব্য কে বা করা সাপ্লাই দিচ্ছে তাদের খুঁজে বের করতে হবে এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। তবেই ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। উৎপাদন স্থল সিল করতে না পারলে হোটেলগুলোতে ভেজাল খাবারের পরিবেশন বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন ভ্রাম্যমান অদালত পরিচালনাকারী এই ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি আরও বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ নামে একটি নতুন সরকারি সংস্থা ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে নিয়মিতভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেছে। তাদের মূল কাজ হবে খাবার ও খাদ্য পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত পরিদর্শন করা এবং শাস্তি প্রদানের সাথে মানের তালিকা তৈরি করা।