মুসফিরাহ হাবীব: পাকিস্তানের গায়ক হলেও ভারতে ভক্ত নেহাৎ কম নয় রাহাত ফতেহ আলি খানের। বলিউডের প্লে-ব্যাকে ২০০৩ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে প্রতি বছরই বেড়েছে তার গানের সংখ্যা। নিজ দেশের পাশাপাশি ভারতেও নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ঝুলি ভরেছে তার।
কিন্তু, এতকিছুর পরও এবার সম্মানীয় এ গায়কের বিরুদ্ধেই উঠেছে বিদেশি মুদ্রা পাচারের গুরুতর অভিযোগ। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছে ভারতের আইনপ্রয়োগকারী ও অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘ইন্ডিয়ান এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট’ (ইডি)।
ভারতের মধ্য দিয়ে গত তিনবছর ধরে অবৈধভাবে মুদ্রা চোরাচালানের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, রাহাত ফতেহ আলি খান অবৈধ উপায়ে ২ কোটিরও বেশি রুপি পেয়েছেন। এর মধ্যে তিনি পাচার করেছেন এক কোটিরও বেশি রুপি। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করে বিদেশি মুদ্রা বিনিময় আইন লঙ্ঘন করেছেন তিনি।
ফতেহ আলি খানকে ৪৫ দিনের মধ্যে অভিযোগের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ২.৬১ কোটি রুপির হিসেব চাওয়া হয়েছে তার কাছে। নোটিশে বলা হয়েছে, এ অর্থের খতিয়ান ঠিকমত দিতে না পারলে তাকে জরিমানা দিতে হতে পারে। জরিমানা না দিতে পারলে, ভারতে আর কোথাও গান গাইতে পারবেন না তিনি। তার বিরুদ্ধে এরপর লুক আউট নোটিশও জারি করতে পারে ইডি।
তবে এবারই প্রথম নয়,এ নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন পাকিস্তানি এ গায়ক। ২০১১ সালে, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে আটক করা হয়েছিল অবৈধ বিদেশি মুদ্রার জন্য। তার কাছে তখন পাওয়া গিয়েছিল ১.২৪ লাখ ইউএস ডলার। সঙ্গীতের দলবল নিয়ে ভ্রমণ করার কারণে এত ডলার বহন করেছেন বলে সে সময় দাবি করেছিলেন রাহাত।
ওস্তাদ ফতেহ আলি খানের ভাগ্নে রাহাত ফতেহ আলি খান ২০০৩ সালে ‘পাপ’ ছবির গান ‘মন কি লগন’ দিয়ে বলিউডে যাত্রা শুরুর পর আরও অনেক ছবির গান গেয়েছেন তিনি। ভারতের রিয়্যালিটি শো’তেগুলোতেও তিনি বিচারক হিসাবে থাকেন।
র ‘পাপ’ ছবির গান ‘মন কি লগন’ দিয়ে। তার পর থেকে নিজের দেশের তরফ থেকেই শুধু নয়, ভারত থেকেও রাহত ফতেহ আলি খান পেয়েছেন নানা পুরস্কার ও সম্মান।
আপনার মতামত লিখুন :