শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৫:৫১ সকাল
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৫:৫১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গভীর রাতে মাকে রাস্তায় ফেলে গেল সন্তানরা

ডেস্ক রিপোর্ট : পাঁচ সন্তানের জননী ফুজলি বেগম (৮৬) বয়সের ভারে নূয্য রোগ-শোকে এখন আর চলতে পারে না, তাই সন্তানরাও তার দায়িত্ব নিতে চাই না। যে সন্তানদের আদর-যত্ন করে লালন পালন করে বড় করেছে মা সেই গর্ভধারিণী মা কে রাতে আধারে রাস্তায় ফেলে আসে ছেলেরা। ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুচিয়াবাড়িয়া গ্রামের। সে ওই গ্রামের মৃত ছামাদ শেখের স্ত্রী।

ফুজলি বেগমের স্বামী ছামাদ শেখ মারা গেছেন ৩০ বছর হলো। অনেক কষ্ট করে খেয়ে না খেয়ে তিন ছেলে আর দুই মেয়েকে বড় করেছেন ফুজলি। দিয়েছেন ছেলে-মেয়েদের বিয়ে। এখন পাঁচ ছেলে-মেয়ে নিজ নিজ সংসারে ভালোই আছে। কিন্তু তাদের কারও সংসারেই বৃদ্ধা মায়ের ঠাঁই হয়নি। মাকে খেতে-পরতে দিতে চায় না কোনো সন্তান।

বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয়রা বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে বড় ছেলে ডাকু শেখের বাড়িতে রেখে এসেছেন। বর্তমানে ছেলের ঘরের বারান্দায় অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন মা।

স্থানীয়রা জানান, ৩০ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর অনেক কষ্ট করে ছেলে-মেয়েদের বড় করেছেন ফুজলি বেগম। এখন বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। এখন তিনি কোনো কাজ করতে পারেন না। ছেলে-মেয়েদের কাছে বোঝা হয়ে গেছেন তিনি। তিন ছেলের আলাদা সংসার থাকলেও কোনো ছেলেই তার দায়িত্ব নিতে চান না। তাই গভীর রাতে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে আসেন তারা। গ্রামের লোকেরা ছেলেদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলেও তার দায়িত্ব নিতে নারাজ ছেলেরা।

ওই গ্রামের আলফাজ উদ্দিন বলেন, বৃদ্ধা মাকে রাস্তার পাশে একটি প্লাস্টিকের বস্তা বিছিয়ে শুইয়ে রেখে যান তার ছেলেরা। আমরা গিয়ে দেখি, তার শরীরে অনেক পোকামাকড় ভরা। এ দৃশ্য দেখে চোখের পানি আটকে রাখতে পারিনি।

কুচিবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য গোলাম সরোয়ার বলেন, আমরা গ্রামের লোকজন বৃদ্ধার ছেলেদের অনেক অনুরোধ করেছি। কোনো ছেলেই মায়ের দায়িত্ব নিতে চায় না। আমরা সবাই তার ছেলেদের বলেছি, আমরা সবাই মিলে বৃদ্ধার খাবার দেব, তোমরা শুধু বৃদ্ধার থাকার ব্যবস্থা করো। কিন্তু ছেলেরা কেউই মায়ের দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে না।

বিষয়টি নিয়ে বৃদ্ধার ছেলেরা কথা বলতে রাজি হয়নি। এমনকি ওই বৃদ্ধার আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাজী বনি আমিন বলেন, আমি বর্তমানে একটি কাজে ঢাকায় অবস্থান করছি। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ওই বৃদ্ধার খোঁজ-খবর নেয়া হবে। সূত্র : বিডি২৪লাইভ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়