গোলাম মাওলা মুরাদ, চট্টগ্রাম: বিয়ের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তিন বন্ধু মিলে তিন মাস আগে চট্টগ্রামের বাশখালী থেকে অপহরণ করেছিল চুমকি নামে কক্সবাজার পেকুয়ার এক স্কুল ছাত্রীকে। অবশেষে পুলিশ বুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সদস্যরা নগরীর ইপিজেড থানাধীন কমিশনার গলির রনি ভবনের ৬ তলার একটি বাসা থেকে উদ্ধার করেছে তাকে। পালিয়ে গেছে মুল অপহরনকারী মেজবাহ উদ্দিন। আদালতের নির্দেশে স্কুল ছাত্রী চুমকিকে নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, কক্সবাজারের পেকুয়া ফৈজুন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী শারমীন আক্তার চুমকি (১৩)কে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পুঁইছড়ি থেকে অপহরণ করে পাশের গ্রামের মিজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ। তিন মাস চুমকি নিয়ে বিভিন্ন স্থান বদলের পর মঙ্গলবার বিকালে ইপিজেড এলাাকা থেকে উদ্ধার করা হয় তাকে।
পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পরিদর্শক (প্রশাসন) আবু জাফর মো. ওমর ফারুক জানান, বিয়ের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় গত ২০ জুন ১৩ বছরের কিশোরী চুমকিকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় বাঁশখালীর পুঁইছড়ির মেজবাহ উদ্দিন। এ ঘটনায় গত ৩০ জুলাই আদালতে ওই কিশোরীর মা মামলা করলে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয় বিচারক।
গত ১৩ আগস্ট মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান পরিদর্শক মোহন লাল চন্দ্র। দায়িত্ব পাওয়ার ৪২ দিনের মধ্যে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পিবিআই।
পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক বলেন, মেয়েটিকে আদালতের নির্দেশে নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। আসামিরা পলাতক আছে। দ্রুত এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া হবে।
উদ্ধারকৃত স্কুল ছাত্রী চুমকির উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, স্কুলে যাওয়ার পথে চুমকিতে অপহরন করার পর নগরীর ইপিজেড এলাকায় একটি বাসায় নিয়ে আটকে রাখা হয়। দিনের বেলা ঘরটির তালা বন্ধ করে রাখা হতো। জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পেয়ে মেয়েটি আবারো স্কুল ভর্তি হতে চায় বলে জানান তিনি। চুমকিকে তার পিতা-মাতার হেফাজতে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :