আহমেদ জাফর : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা বিএনপি নীল নকশা কিন্তু জনগণ তাদের নীল নকশাকে সফল হতে দেয়নি। নির্বাচনের মধ্যেই সেটা প্রমাণিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১জুলাই) আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিন সিটি কর্পোরেশন নিবার্চনের ফলাফল জানাতে সংবাদ সম্মেলনে করে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সিলেটে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে পরাজয় হতো না। সিলেট ও কুমিল্লায় আমাদের পরাজয়ে সাংগঠনিক দুর্বলতা কাজ করেছে। সিলেটে হারলেও ভোটে তেমন ব্যবধান নেই। প্রতিযোগিতা হয়েছে তাছাড়া এখনো দুইটি কেন্দ্র স্থাগিত আছে।
সিলেটে বিএনপির বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন ভোট চলাকালীন নির্বাচন নিয়ে নানান নাটকীয়তা করে ছিলো। ফলাফল ও প্রত্যাখান করেছিলো তারা। রাতে ফলাফল শোনার পর পাল্টিয়ে যায় এই চিত্র। বিজয়ী চিহ্ন দেখান তিনি। বিএনপি কি সিলেটে পুনরায় নির্বাচনের দাবি করবেন?
নির্বাচন নিয়ে কয়েক দিন বিএনপি তামাশার নাটক করেছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, বরিশালে বিএনপির প্রার্থী নির্বাচন থেকে সড়ে যাবেন এটা দক্ষিণ অঞ্চলের পত্রপত্রিকাগুলো আগেই লিখেছিলেন। নিশ্চিত পরাজয় জেনেই মজিবর রহমান সারোয়ার সড়ে গেছে।
তিনি বলেন, বিএনপির রাজশাহীর প্রার্থীর পাশে দলের কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি। তিনি পরাজয়ের বিরহে কাতর ছিলেন। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত করা ছিল বিএনপি নীল নকশা। কিন্তু জনগণ তাদের নীল নকশাকে সফল হতে দেয়নি। দুই সিটি নির্বাচনে বিজয় এটাই প্রমাণ করে জনগণ সরকারের উন্নয়নের পক্ষে। জনগণ হাওয়া ভবনে মত বিকল্প ভবন দেখতো চায় না। সন্ত্রাস-দুর্নীতির জন্য রাস্তা হারিয়ে ফেলেছে দলটি।
মন্ত্রী বলেন, তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার পরেও তারা অভিযোগ করেছে। নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে হচ্ছে, দু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কোথাও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি । নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি এমন অভিযোগ করছে এটা তাদের পুরনো অভ্যাস।
এ এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, এনামুল হক শামীম, বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর,সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, প্রমূখ।
আপনার মতামত লিখুন :