শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ২৪ জুন, ২০১৮, ০৫:০০ সকাল
আপডেট : ২৪ জুন, ২০১৮, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিটিং বাসে চিটিং কারবার

ডেস্ক রিপোর্ট: গণপরিবহণে সিটিং সার্ভিসের নামে নৈরাজ্য দিনদিন ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে নগরীতে। সাধারণ মানুষের মতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ত্রুটিপূর্ণ ও নিম্নমানের যানবাহন এবং অতিরিক্ত যাত্রী বহণসহ নানা অভিযোগে নগরীতে বিষফোঁড়া হিসেবে দেখা দিয়েছে এই সিটিং সার্ভিস। এসব কিছু স্বীকার করে নিয়ে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সঠিক কোনো নীতিমালা না থাকায় নিজেরাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না এ নৈরাজ্য। আর বিআরটিএ বলছে, খুব শিগগিরিই নীতিমালা তৈরি করে সিটিং সার্ভিসের অনুমতি দিয়ে সমস্যার সমাধান করা হবে।

সিটিং কিংবা গেইটলক অথবা বিরতিহীন নামে কোন শব্দ সিটি বাস সার্ভিসের রুট পার্মিটের কোথাও লেখা না থাকলেও নিজেদের প্রভাব এরই মধ্যে বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে গণপরিবহন সংশ্লিষ্টরা। কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, অর্থলোভেই মূলত নগরীতে সিটিং সার্ভিস নাম দিয়ে সীমাহীন যাত্রীদুর্ভোগের কারণ তৈরি করেছে পরিবহণ মালিকরা।

যাত্রী পরিবহণে নগরীতে প্রায় ১০ হাজার গণপরিবহণের চাহিদা থাকলেও রয়েছে প্রায় ৭ হাজার বাস। তাই পরিবহণ সংকট থাকা অবস্থায় আবারো সিটিং এর নামে যাত্রী পরিবহনের পরিমাণ কমিয়ে ফেলা হচ্ছে। এতে জনদুর্ভোগ বাড়ছে বলে মনে করেন সাধারণ যাত্রীরা।

তারা বলেন, নাম রাখছে সিটিং কাজের বেলায় চিটিং। বিশ সিটের জায়গায় ৫০ সিট লাগায়। তারা লেখা রাখছে বিরতিহীন আসলে তারা চরিত্রহীন। আমরা সিটিং হিসেবে উঠে দেখি এটা পুরোপুরি লোকাল। জায়গা থেকে মানুষ উঠাচ্ছে নামাচ্ছে। কিন্তু ভাড়া নিচ্ছে দুই গুন তিন গুন।

কোন সুষ্ঠু তদারকি বা নীতিমালা এতদিন না থাকায় সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে নিজেরাই স্বীকার করে নিয়েছেন পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা।

সিটি পরিবহণ মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, সিটিং সার্ভিসে স্ট্যান্ডিং প্যাসেঞ্জার থাকে। একজন লোক পল্লবীতে থেকে ফার্মগেট উঠে গেলো কিন্তু তার মতিঝিল পর্যন্ত ভাড়া। এটা এখন চলছে। আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি কিন্তু এখন পুরোপুরি সম্ভব হয়নি।

শিগগিরই ভাড়া নির্ধারণ, বাসের রং ও সীমিত স্টপেজ করার সুপারিশের মাধ্যমে নীতিমালা ঠিক করে সমস্যা সমাধান করার কথা জানান পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিআরটিএ।

বিআরটিএ'র সচিব বলেন, যদি কেউ সিটিং সার্ভিস চালাতে চায় তাহলে তাকে নিয়মনীতি আইনের মধ্যে চালাতে হবে।

তবে, পরিবহণ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সিটিং সার্ভিস নগরীতে যেমন যানজট বাড়াবে, তেমনি বাড়াবে জনদুর্ভোগও।

পরিবহণ বিশেষজ্ঞ ড. সালেহউদ্দিন বলেন, সিটিং সার্ভিসের কারণে ছোট গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেছে। প্রতিবছর ৩৫ হাজার কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে যানজটে এই ঢাকা শহরে।

আর তাই সবার আগে বাস মালিক, যাত্রী ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থার ঐক্যমত্যের ভিত্তিতেই কেবল সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব বলে মত দেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: সময় টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়