মোস্তাফিজার রহমান বাবলু ও মদিনাতুল জান্নাত রুহি,রংপুর: দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অনুন্নত থেকে উন্নত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যাবস্থা। কম সময়ে মানুষ এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে যাচ্ছে দ্রুতগতিতে। সময়ের কাজ সময়ে করতে পেরে নিজের ও সমাজের কল্যাণে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এসবের অবদান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
কুড়িগ্রাম-২ আসনের আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি ডা. হামিদুল হক খন্দকার উপরোক্ত কথাগুলো বলেন । তিনি আরও বলেন, ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লালমনিরহাটের ফুলবাড়ীর মধ্যবর্তী স্থানে কুলাঘাটে ধরলা নদীর ওপর ৯৫০ মিটার পিসি গার্ডার সেতুর ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন।
এলজিইডি’র তত্ত্ববধানে নির্মিত রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দীর্ঘতম এই সেতুটি নির্মানের জন্য সিমপ্লেক্স ও নাভানা কনষ্ট্রাকশন গ্রুপের সাথে যৌথভাবে চুক্তি সম্পাদিত হয় ২০১৪ সালে। সেতুটির নদী শাসন, এ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ ও মূল সেতুর জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ১৯১ কোটি ৬৩ লাখ ২২৩ টাকা ৫৮ পয়সা। সেতুটি চালু হওয়ায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও লালমনিরহাট জেলার ২০ লাখ মানুষ উপকৃত হবে। বিভাগীয় শহর রংপুরসহ দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটা সহজ হবে। কমে যাবে ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার সড়ক পথ।
এছাড়াও ফুলবাড়ী হয়ে বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সেভেন সিস্টারস নামে খ্যাত উত্তর পূর্বাঞ্চলের ৭ টি রাজ্য আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা ও অরুনাচলের সাথে বাংলাদেশ ও ভারতের পন্য পরিবহন ব্যয় বহুলাংশে কমে আসবে। যুগান্তকারী অগ্রগতি ঘটবে বাংলাদেশ ও ভারতের এসব এলাকার।
একই সাথে বাংলাদেশের লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা হয়ে কলিকাতার যোগাযোগেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কুলাঘাটে নির্মিত দ্বিতীয় ধরলা সেতু চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.জাফর আলী, কুড়িগ্রাম-২ আসনের আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি ডা. হামিদুল হক খন্দকার ও কুড়িগ্রাম জেলা প্রসাশক মোছা.সুলতানা পারভীন প্রমূখ।
আপনার মতামত লিখুন :