রফিক আহমেদ : গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন, জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দেওয়ার পর এই সংকটের যৌক্তিক ও ন্যায্য সমাধানের পথে না যেয়ে সরকার পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। এখনও পর্যন্ত কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি; নারী, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র জাতিসত্তাসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির স্বার্থ কিভাবে সংরক্ষণ হবে সে ব্যাপারেও সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কোন ঘোষণা আসেনি।

বুধবার বাসদ (মার্কসবাদী) এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাম মোর্চার আলোচনা সভায় নেতারা এসব কথা বলেন।

বাম মোর্চার নেতারা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে চোখ বেঁধে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া, আন্দোলনকারীদের নানাভাবে চাপ, হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন এবং বলেছেন পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগের তৎপরতা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ যেমন নষ্ট হবে, তেমনি নতুন পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে।

নেতারা বলেন, কালক্ষেপন না করে এবং আন্দোলনকারীদের হয়রানি বন্ধ করে অগ্রাধিকারের এই সংকটে কার্যকরী সমাধানে উদ্যোগী হতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার, শিক্ষার্থীদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। নেতারা ঢাকায় দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানো ছাত্র রাজিবের মৃত্যুতে গভীর শোক ও বেদনা প্রকাশ করেছেন এবং বেপরোয়া বাস চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

বাসদ (মার্কসবাদী’র) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাম মোর্চার সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল হক, মোশরেফা মিশু, জোনায়েদ সাকি, মোশাররফ হোসেন নান্নু, হামিদুল হক, ফিরোজ আহমেদ, মানস নন্দি ও মোমিনুর রহমান প্রমুখ ।