ব্যারিষ্টার আফতাব উদ্দিন : উত্তরায় কিশোরের রহস্যজনক মৃত্যু। ১২ লাখ টাকায় দফারফা, ৮ লাখ টাকা পুলিশের পকেটে, ৪ লাখ টাকা মৃতের বাবাকে। এটা সম্পূর্ণ একটা খুন। প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড। পুলিশ যে আপোষটা করলো টাকা নিয়ে তাতে পুলিশও এখন আইনের চোখে দায়ী। পুলিশও এসব পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। যারা এই কাজটি করেছে তাদেরকে তদন্তের আওতায় আনা উচিত। এই ভাবে টাকা নিয়ে মামলা চেপে যেতে বলা আইনত দন্ডনীয়। পুলিশকে দায়ী করে চার্জশীট তৈরি করে মামলা করা উচিত। তারা পরোক্ষভাবে হত্যাকান্ডে সহযোগিতা করলো। হত্যাকান্ডে আপোষ করা যায় না।
একজন মানুষ যখন খুন হয়ে যায় তখন আপোষ বেআইনি। কাউকে অভিযুক্ত করলে রিপোর্ট দেবে। হত্যাকান্ডের বিচার হতে হবে। মামলা চেপে যেতে বলে পুলিশের জড়িত থাকা পরিস্কার করেছে। তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়া দরকার।
বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেয়া যায়। পুলিশের মধ্যেই এমন আইন আছে। দু’একজন লোকের জন্য সমস্ত পুলিশ বাহিনীর বদনাম দেয়া যায় না। ছোটখাট অপরাধে আপোষ করা যায়। হত্যা মামলায় যদি রাষ্ট্র বাদী হয়, তখন আপনি তথ্য দেবেন। স্বাভাবিক আইনে তদন্ত হবে, বিচার হবে। এগুলো লিগ্যাল প্রসেস। তদন্ত অনুযায়ী সবাই যে রকম সাজা হয় পাবে পুলিশও তা-ই পাবে। পুলিশই যদি টাকা পকেটে ঢুকিয়ে মামলা তুলে নিতে বলে, জনগণ তাহলে কার কাছে যাবে?
পরিচিতি : আইনজীবি ও মহাসচিব, জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি
মতামত গ্রহণ : সানিম আহমেদ
সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :