নিজস্ব প্রতিবেদক: এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে একে অন্যের সাথে খেলেছে ৬৮ ওয়ানডে। তাতে বাংলাদেশের জয় ৪০টিতে। জিম্বাবুয়ের জয় ২৮ খেলায়। আর গত ৯ দেখার প্রতিটিতে টাইগাররাই জিতেছে। জিম্বাবুয়ে শেষবার বাংলাদেশকে হারাতে পেরেছে ২০১৩ সালে। সেটা নিজের দেশে। বুলাওয়েতে। এরপর আর পেরে ওঠেনি। এই তো ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিকরা গুঁড়িয়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়েকে। কিন্তু আফ্রিকার সেই দেশটি মঙ্গলবার তাদের বাঁচা-মরার ম্যাচে টাইগারদের হারিয়ে ২৭ তারিখের ফাইনালে ওঠার বিশ্বাস নিয়ে প্রস্তুত।
আসলে বাংলাদেশের হাতেই জিম্বাবুয়ের ভাগ্য। শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ম্যাচে হারালেও পরের ম্যাচে হেরে গেছে। বাংলাদেশ হারিয়েছে দুই দলকেই। বোনাস পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালে। এখন স্বাগতিকদের হারালেও জিম্বাবুয়ে ফাইনালে। শ্রীলঙ্কার বিদায়। আবার বাংলাদেশের কাছে জিম্বাবুয়ে হারলে এবং টাইগাররা শ্রীলঙ্কাকে হারালে তখন রান রেটে দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট নির্ধারণ হবে।
এমন সময়ে জিম্বাবুয়ের পিটার মুর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটাতে খেলতে নামার আগে সোমবার মিরপুরে প্রবল প্রত্যয়ে জানিয়ে গেলেন, ‘আমরা সবাই আত্মবিশ্বাসী। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে মোমেন্টামটা আমাদের হাতে থাকলেও গতকাল হেরে গেলাম। আমরা তারপরও তো প্রমাণ করে রেখেছি যে, আমরা পারি। আমরা নিজেদের সম্ভাবনার পুরোটা কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশকে হারাতে পারার সবটুকু বিশ্বাসই আছে আমাদের।’
সিকান্দার রাজা, ব্রেন্ডন টেলর, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, মুর নিজে ব্যাট হাতে দারুণ। বোলিংও চমৎকার। আর তারা যে এই আসরের ফাইনালের দর্শক হয়ে আফ্রিকা থেকে উড়ে আসেননি সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে মুর বলছেন, ‘(ফাইনালে খেলা) আমার মনে হয় বিরাট ব্যাপার হবে। অবশ্যই আমরা এখানে ফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়েই এসেছি। এখানে শুধু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আসিনি।
আমাদের সবার জন্য এটা বড় ব্যাপার, দেশে যারা তাকিয়ে আমাদের দিকে, তাদের জন্যও। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে এটা প্রাক খেলা আমাদের। সেখানে ফাইনালে উঠতে পারলে তো দুর্দান্ত ব্যাপার হবে।’ এর সাথে আরো বললেন, ‘আর আমি জানি যে, আমাদের দলের সবাই আগামীকাল খুব ভালো একটা পারফরম্যান্স দেখাতে মুখিয়ে আছে।’