শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ১৬ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৩:১৬ রাত
আপডেট : ১৬ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৩:১৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘পানামে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সভ্যতা দেখতে আসেন বিদেশীরা’

জীবন কুমার সাহা : সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেছেন, ইতিহাস ঐতিহ্য সমৃদ্ধ আমাদের প্রত্নতাত্বিক সম্পদ। যে প্রাচীন সম্পদ সেগুলোকে রক্ষা আরো আকর্ষনীয়ভাবে গড়ে তোলা। এটা আমাদের বড় প্রয়োজন। যদি আমাদের বাংলাদেশে বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে চাই, শুধু আকৃষ্ট করা নয়, আজকে কিন্তু দেখুন পাহাড়পুর, শীতল পাটি, জামদানী, বাউল গান, মঙ্গল শোভাযাত্রা, ইউনেস্কো তালিকাভুক্ত হয়েছে। সারা বিশ্বের মানুষ এটি নিয়ে গবেষনা করছেন। এটা একদিকে আমাদের গর্বের বিষয় অন্যদিকে আমাদের লজ্জার ব্যাপারও। তার কারন আমরা আমাদের দেশের সম্পদকে মূল্যায়ন করতে পারেনি। আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যকে আমরা সম্মান করি না। অথচ বিদেশীরা তাদের দেশে আমাদের ঐতিহ্যকে তুলে ধরছেন।

রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে পর্যটকদের সুযোগ সুবিধা না থাকায় বিদেশী পর্যটকরা বাংলাদেশের পর্যটন এলাকায় আসতে চায় না। কক্সবাজার নিয়ে আমরা অনেক কথা বলি। এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম সী-বীচ। কিন্তু এখানে বিদেশীরা কেন আসে না। এজন্য আসে না যে, এখানে বিদেশী পর্যটকদের জন্য যেসব সুযোগ সুবিধা থাকার দরকার সেসব সুযোগ সুবিধা আমাদের এখানে নেই। সেই ক্ষেত্রে আমাদের দেশের আইনগত বাঁধাও আছে। তিনি আরও জানান, সোনারগাঁয়ে পানামে বিদেশীরা কেন আসেন। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সভ্যতা দেখতে আসেন। তারা বগুড়া, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দির, ঢাকার লালবাগ, বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখতে যান।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা দেশের জন্য কাজ করছি এবং কাজ করতে চাই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজকে এগিয়ে চলছে। তারই নেতৃত্বে আমরা আমাদের দেশকে উন্নত দেশ হিসাবে এগিয়ে নিতে চাই। দেশের মানুষ আর ধ্বংসাত্বক রাজনীতি চায় না। হরতাল অবরোধের নামে মানুষ হত্যার রাজনীতি দেখতে চায় না। গাড়িতে পেট্রোল মেরে মানুষ হত্যার রাজনীতি বিশ্বাস করে না। মানুষ শান্তিতে চলতে চায়, ব্যবসা বানিজ্য করে জীবন জীবিকা করে শান্তিতে বাঁচতে চায়। দেশে হরতাল অবরোধ নাই। এখন মানুষ শান্তিতে বসবাসসহ ব্যবসা বানিজ্য করতে পারছে। আমরা সেইদিনে ফিরে যেতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, ২০০৪ সালে দেশের মানুষ না খেয়ে মারা গিয়েছিলেন। আজকে কিন্তু মানুষ আর না খেয়ে মারা যাচ্ছে না। আমার উত্তরবঙ্গের মঙ্গা মানুষও না খেয়ে থাকতো। আজকে সেই মঙ্গার মানুষের হাতে হাতে মোবাইল। যারা একসময় না খেয়ে থাকতো তারা আজকে মোবাইল ব্যবহার করে ৫০০/১০০ টাকা মোবাইলে খরচ করছে। তাহলে বুঝতে হবে আমাদের দেশ কতটাই উন্নত হয়েছে। দেশে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১৩ কোটি সিম চালু রয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান, সোনারগাঁ উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: শাহিনুর ইসলাম, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড.সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সোহেল রানা, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গনি প্রমুখ। এসময় জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা শেষে মন্ত্রীসহ আগত অতিথিরা সোনারতরী মঞ্চে বিভিন্ন শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

এবারের মেলায় বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চল থেকে ৬০ জন কারুশিল্পী মেলায় অংশ নিচ্ছেন। তাদের জন্য ৩০টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট ও মুন্সিগঞ্জ অঞ্চলের শীতলপাটি, নওগাঁ ও মাগুরার শোলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাড়ি ও মুখোশ, ঢাকার শাঁখাশিল্প ও মৃতশিল্প, চট্টগ্রামের তালপাতার হাতপাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, ঠাকুরগাঁয়ের বাঁশের কারুশিল্প, সোনারগাঁয়ের এক কাঠের চিত্রিত হাতি, ঘোড়া, পুতুল ও কাঠের কারুশিল্প, নক্শিকাঁথা, বেতের কারুশিল্প, কুমিল্লার তামা-কাঁসা পিতলের কারুশিল্প, রাঙামাটি, বান্দরবান ও সিলেটের ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কারু পণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরা কোটাশিল্পসহ ইত্যাদি কারুশিল্প এ মেলায় স্থান পাচ্ছে। মেলায় কর্মরত কারু শিল্পীর কারু পণ্য উৎপাদন প্রদর্শনীর ৩০টি স্টলসহ সর্বমোট ১৮০টি স্টল রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়