মাঈন উদ্দিন আরিফ: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নেতাকর্মীদের ব্যাপক শোডাউন নিয়ে বাসায় ফিরছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহ হল থেকে শুরু করে হাইকোর্ট মাজার গেট, মৎস ভবন, ভিআইপি রোড হয়ে রুপসী বাংলা হোটেল পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই ব্যাপক শোডাউন করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে পুরান ঢাকার বকশিবাজারের আলীয়া মাদরাসার মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালত থেকে বের হন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। আদালত থেকে বের হলে ওই এলাকায় অপেক্ষমান দলটির নেতাকর্মীরা তার গাড়িবহরে যুক্ত হন।
গাড়িবহর হাইকোর্ট মাজারের সামনে এলে ভেতরে অপেক্ষমান আরও নেতাকর্মী গাড়িবহরে যোগ দেন। পথে পথে মিছিল আর স্লোগানে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা গাড়িবহরে যুক্ত হওয়ায় যে পথ দিয়ে বেগম জিয়া গুলশানের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন সেসব রুটে যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে বিকেল ৪টার বিছুক্ষণ পরে বাসায় পৌছান সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরা দেয়াকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার বিশেষ জজ আদালত এলাকা ও আশপাশ এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। বিশেষ করে হাইকোর্ট এলাকায় নজরদারি ছিল বেশি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হাইকোর্টের মাজার গেট, কদম পোয়ারা মোড়সহ ওই এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও ধরপাকড়ের ঘটনা ঘটছে। এসব ধরপাকড়ের মধ্যেই খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে নেতাকর্মীদের ব্যাপক ঢল নামছে।
নেতাকর্মদের শোডাউন প্রসঙ্গে ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান বলেন, সাবেক তিন বারের সফল প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আদালতে তার যুক্তি উপস্থান করতে আসবেন, সেখানে নেতাকর্মীরা ব্যাপক হারে উপস্থিত হবেন এটা স্বাভাবিক। কিন্তু পুলিশ এতে বাধা দিয়ে পরিস্থিতিকে অন্য দিকে নিয়ে যেতে চায়। যার কারনে প্রতিদিন আমাদের অনেক নেতাকর্মী আটক করে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়।
তিনি সরকারকে হুশিয়ারি করে বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সরকার যদি কোন প্রকার প্রহসনের রায় দেয়, তাহলে রাজপথে ছাত্রদল এর কঠিন জাবাব দেবে এবং সেখান থেকেই সরকার পতনের আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :