শিরোনাম
◈ লোহাগড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু ◈ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস  ◈ জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টানা চার জয় বাংলাদেশের ◈ বন্দি ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের তথ্য-ছবি ফাঁস ◈ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আন্দোলন ঠেকাতে দমনপীড়ন, নিন্দা জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ গাজার রাফাহজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও বোমাবর্ষণ ◈ কোনো ভর্তুকি ছাড়াই নিজস্ব আয় থেকে উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করছে বিমান ◈ আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকলে বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে: ওবায়দুল কাদের ◈ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা শেষ, এখন চলবে ফাইজার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ অবসরের পর দুবোন মিলে টুঙ্গিপাড়ায় থাকবো: প্রধানমন্ত্রী (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৪ নভেম্বর, ২০১৭, ০৬:১৩ সকাল
আপডেট : ১৪ নভেম্বর, ২০১৭, ০৬:১৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্বপ্ন দেখা ও ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

মুহাম্মাদ আবু আখতার : প্রত্যেক মানুষই কমবেশি স্বপ্ন দেখে। কিন্তু সব স্বপ্ন সত্য হয় না। একমাত্র নবী রাসুলদের দেখা সব স্বপ্নই সত্য হয়ে থাকে। কারণ তাদের স্বপ্ন আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে নাযিলকৃত ওহী। এজন্য হাদীসে স্বপ্নকে নবুয়্যতের ৪৬ ভাগের এক ভাগ বলা হয়েছে। এ সম্পর্কে হজরত আবূ হুরায়রা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘শেষ যমানায় মুমিন ব্যক্তির স্বপ্ন কদাচিৎ অবাস্তব হবে। তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি অধিক সত্যবাদী তার স্বপ্নও অধিক সত্য হবে। মুমিন ব্যক্তির স্বপ্ন নবুওয়াতের ৪৬ ভাগের এক ভাগ।’ (ইবনে মাজাহঃ৩৯১৭)

স্বপ্ন বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে। স্বপ্নের প্রকারভেদ সম্পর্কে হজরত আওফ বিন মালিক (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, স্বপ্ন তিন প্রকার। (এক) শয়তানের পক্ষ থেকে ভীতিজনক স্বপ্ন যার দ্বারা সে আদম সন্তানকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে। (দুই) মানুষ জাগ্রত অবস্থায় যা দেখলে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয় স্বপ্নে তা দেখে। (তিন) স্বপ্ন হলো নবুওয়াতের ছেচল্লিশ ভাগের একভাগ। অধস্তন রাবী বলেন, আমি তাকে বললাম, আপনি কি ঐ হাদিস রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট শুনেছেন? তিনি বললেন, এটা আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট শুনেছি, এটা আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট শুনেছি। (ইবনে মাজাহ : ৩৯০৭)

রাসুলুল্লাহ (সা.) এর উপর সাতটি পদ্ধতিতে ওহী নাযিল হতো। সত্য স্বপ্ন এ সাতটি পদ্ধতির অন্যতম। তার উপর সর্বপ্রথম সত্য স্বপ্নযোগে ওহী নাযিল হয়। এ ব্যাপারে উম্মুল মু’মিনীন হজরত আয়িশা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) এর নিকট সর্বপ্রথম যে ওহী আসে, তা ছিল নিদ্রাবস্থায় সত্য স্বপ্নরূপে। যে স্বপ্নই তিনি দেখতেন তা একেবারে প্রভাতের আলোর ন্যায় প্রকাশিত হতো।
(বোখারি : ৩) হজরত আবু হুরায়রাহ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, আমি স্বপ্নে আমার হাতে দুটি সোনার চুড়ি দেখতে পেলাম। আমি ফুঁ দিতেই তা উড়ে চলে গেলো। আমি এই চুড়িদ্বয়ের এ ব্যাখ্যা করেছি যে, নবুয়াতের দু’মিথ্যা দাবিদারের আবির্ভাব হবে। তারা হলো, মুসায়লামা ও আনসী। (ইবনে মাজাহ : ৩৯২২)

হজরত আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি স্বপ্নে দেখল যে, কেউ তাঁকে জিজ্ঞাসা করছে যে, তোমাদের নবী (সা.) কিসের আদেশ করেছেন? সে বলল, আমাদের নবী (সা.) ৩৩ বার ‘সুবহানাল্লাহ’ ৩৩ বার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ এবং ৩৪ বার ‘আল্লাহু আকবর’ বলতে আদেশ করেছেন। এ হল একশত বার। সে বলল, তোমরা ২৫ বার ‘সুবহানাল্লাহ’ ২৫ বার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ এবং ২৫ বার ‘আল্লাহু আকবর’ এবং ২৫ বার লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলবে, তাও একশত বার হবে। যখন সকাল হল ঐ ব্যক্তি স্বপ্ন বৃত্তান্ত নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জানাল। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা তাসবীহ অনুরুপই বলবে, যেরূপ আনসারী ব্যক্তি বলেছে। (সুনানে আবু দাউদ : ১৩৫১)

লেখক : শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়