প্রতিদিনকার মতো আজ সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরেও স্কুল ছুটির পর বোনকে আনতে গিয়েছিলেন বড় ভাই তাহমিন হাসান রোহান। সেখানে গিয়ে তিনি খুঁজে পান বোনের দগ্ধ শরীর।
রোহান বলছিলেন, ‘গিয়ে দেখি, স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেকক্ষণ খোঁজার পর বোনকে পাই। দেখি, বোনের পুরো শরীর পুড়ে গেছে।’
রোহানের বোন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী নুরে জান্নাত ইউশা বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়েছে। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন সে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের তৃতীয় তলার করিডরে বসে হাউমাউ করে কাঁদছিলেন ইউশার মা ইয়াসমিন আক্তার। বলছিলেন, ‘আমার মেয়ের সব পুড়ে গেছে। মাথা ফেটে গেছে। মেয়ে শুধু বলে, ‘‘মা আমার সব জ্বলে’’। এত কষ্ট হইতেছে ওর। আমি আর সহ্য করতে পারতেছি না। তোমরা কেউ ওর জ্বলা বন্ধ করো।’
ইউশার মা ও ভাই জানান, দগ্ধ অবস্থায় তাকে উত্তরার লুবনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন ইউশা।
বার্ন ইনস্টিটিউটের করিডরে বসে ভাগনির পোড়া স্কুলড্রেস হাতে নিয়ে কাঁদছিলেন ফাহাদ নিয়ন। তিনি জানান, তাঁর ভাগনি মাইলস্টোনের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মেহরিন। সারা দিন পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকত ছোট মেয়েটি।
ফাহাদ বলছিলেন, ‘ও খুব ছোট। ওর মুখ, হাত সব পুড়ে গেছে।’
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৬০ জনের বেশি আহত ব্যক্তিদের জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উৎস: আজকের পত্রিকা।