শিরোনাম
◈ নিম্নচাপ ও অমাবস্যার জোড়া প্রভাবে উপকূল প্লাবিত, দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে ◈ শর্ট বল খেলতে না পারলে টেস্ট খেলার দরকার কী? : সু‌নিল গাভাস্কার ◈ ভারতের ফুটবল কোচ হতে চান জাভি হার্না‌ন্দেজ, আবেদনে সারা দেয়নি ফেডারেশন ◈ এন‌সি‌পি কী আওয়ামী লীগ বিরোধিতাকে পুঁজি করে রাজনীতি করতে চায়? ◈ দশম গ্রেডে প্রধান শিক্ষকদের বেতন কার্যকরে প্রস্তুত সরকার, সহকারী শিক্ষকরা চায় ১১তম গ্রেড ◈ বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ ◈ কী ঘটেছিল? কেন নিষেধাজ্ঞায় পড়তেই হলো লিওনেল মেসি ও জর্দি আলবাকে? ◈ ঢাকার আকাশে সামরিক বিমান, শহরে ঘাঁটি ও বিমানবন্দর থাকার ঝুঁকি কী? ◈ বিমানবন্দর থেকে ১২৩ বাংলাদেশিসহ ১৯৮ বিদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া (ভিডিও) ◈ যে কারণে ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে ইসলাম শিক্ষা

প্রকাশিত : ২৫ জুলাই, ২০২৫, ০২:৫৬ দুপুর
আপডেট : ২৬ জুলাই, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিমান বিধ্বস্তের আগে প্যারাশুটে ঝাঁপ, টিনশেড ছাদ ভেঙে পড়ে এক ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার পাইলট

প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগমুহূর্তে ইজেক্ট করতে পেরেছিলেন পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম। প্যারাশুটসহ গিয়ে পড়েছিলেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি টিনশেড ভবনের ওপর। ছাউনি ভেঙে ঢুকে যান কক্ষের ভেতরে।

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় ১ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় এর পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামকে। তখনো তাঁর দেহে প্রাণ ছিল। প্যারাস্যুট না খোলায় পাইলট অনিয়ন্ত্রিত গতিতে মূল দুর্ঘটনাস্থলের অদূরেই পড়ে গুরুতর আহত হন। তবে ভয়াবহ আগুন থেকে সবাই শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে ব্যস্ত থাকায় তাঁর বিষয়টি কারও নজরে আসেনি। সূত্র: আজকের পত্রিকা

পাইলটকে উদ্ধারকারী ব্যক্তি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা এ ঘটনার বিষয়ে বিশদ জানিয়েছেন। মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের জ্যেষ্ঠ মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. মকবুল হোসেন তাঁদের একজন। পাইলট তৌকির ইসলামের সন্ধান পাওয়ার পর মো. মকবুল হোসেনই প্রথম তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।

মকবুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, যুদ্ধবিমানটি হায়দার আলী ভবনের প্রবেশমুখে বিধ্বস্ত হওয়ার পর সবাই সেদিকে দৌড় দেন। আটকা পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা করতে থাকেন তাঁরা। সেদিকেই ব্যস্ত ছিলেন সবাই। একপর্যায়ে সেনাসদস্যরা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চলে আসেন। চারদিকে কান্না ও হাহাকার চলতে থাকে।

মকবুল হোসেন আরও বলেন, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় ১ ঘণ্টা পর জুনিয়র মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট সাহেদা দেখেন, হায়দার আলী ভবনের উত্তর পাশে একটি ঝাউগাছে একটি প্যারাস্যুট ঝুলছে। তিনি বিষয়টি মকবুল হোসেনকে জানান। এরপর মকবুল হোসেন সেখানে দৌড়ে যান। প্যারাস্যুটটি যেখানে ঝুলছিল, ঠিক তার সোজা সামনের কক্ষটিতে ছিল কলেজের শারীরিক শিক্ষা বিভাগ। টিনের চাল ভেঙে সে কক্ষেই পড়েন পাইলট। তখনো তাঁর শরীর যুদ্ধবিমানের ইজেকশন সিটের সঙ্গে যুক্ত ছিল।

মকবুল হোসেন বলেন, ‘পাইলট তৌকির ইসলাম তখনো সিটের সঙ্গে আটকা অবস্থায় ছিলেন। অচেতন অবস্থায় ডানদিকে কাত হয়ে ছিলেন। আমরা তাঁকে সেই অবস্থায়ই উদ্ধার করি। সেনাসদস্যরা এসে পাইলটকে সিট থেকে বের করে কলেজের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে আমি প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষা করি।’

মকবুল জানান, তিনি তৌকিরের পাল্স (নাড়ির গতি) পেয়েছিলেন। মুখে সামান্য রক্ত থাকলেও বাইরে থেকে শরীরে বড় কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। রক্তচাপ ছিল ১০০-৬০। অর্থাৎ তখনো তৌকির জীবিত ছিলেন। এটা নিশ্চিত হতেই সেনাসদস্যরা তাঁকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।

গুরুতর আহত পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামকে শেষপর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়