শিরোনাম
◈ দগ্ধ শরীরে শিশুদের বাঁচানোর চেষ্টা করা সেই শিক্ষিকার মৃত্যু ◈ রক্তের জন্য মাইকিং : বার্ন ইউনিটে কান্নায় ভারী পরিবেশ, স্বজনদের আহাজারি ◈ পোড়া বাচ্চাটি দৌড়াচ্ছে সবাই ভিডিও করছে কিন্তু ধরছে না! ◈ শাসক পাল্টিয়েছে, কিন্তু শাসনের চরিত্র বোধহয় পাল্টায়নি: তারেক রহমান ◈ আমার বলার কোনো ভাষা নেই, আগুনে পুড়ে যাওয়া শিশুদের মা-বাবাকে আমরা কী জবাব দেব: ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা ◈ পাইলট বিমানটি ঘনবসতি এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নেওয়ার চেষ্টা করেন: আইএসপিআর ◈ মা, আমার সব জ্বলে’ — স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দগ্ধ ইউশা ◈ সাগারিকার এক হালিতে বিধ্বস্ত নেপাল, সাফে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ◈ সুন্দরবনের উপকূলে চার শতাব্দীর পুরনো কালীবাড়ি-শিববাড়ি পরিণত হতে যাচ্ছে প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যে ◈ বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলে বর্ষায় প্রাণ ফেরে বাধালের নৌকার হাটে

প্রকাশিত : ২১ জুলাই, ২০২৫, ০৬:৪৫ বিকাল
আপডেট : ২২ জুলাই, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ছুটির ঠিক আগমুহূর্তে বিকট শব্দ, তারপর শুধু ধোঁয়া আর আগুন; আহত শিক্ষকের লোমহর্ষক বর্ণনা (ভিডিও)

রাজধানীর উত্তরায় ভয়াবহ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত এক স্কুলশিক্ষক হাসপাতাল থেকে সেই ভয়াল মুহূর্তের লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবিহ্বল এই শিক্ষক জানিয়েছেন, ছুটির ঠিক আগমুহূর্তে বিকট শব্দে সবকিছু কেঁপে ওঠে এবং মুহূর্তের মধ্যে চারপাশ আগুন ও ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।

আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই শিক্ষক গণমাধ্যমকে জানান, তখন স্কুলের ছুটির সময় আসন্ন। শিক্ষার্থীরা বের হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবং শিক্ষকরা তাদের সুশৃঙ্খলভাবে বের হতে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। তিনি বলেন, "আমি টিচার্স রুমে গিয়েছিলাম লাঞ্চ করার জন্য। এমন সময় হঠাৎ করে বিকট শব্দ শুনতে পাই, সঙ্গে দেখি আগুনের ফুলকি। মনে হচ্ছিল যেন ছোট কোনো বিমান এসে পড়েছে।"

তিনি আরও জানান, বিস্ফোরণটি ঘটেছিল স্কুলের মূল ফটকের কাছে, যেখান দিয়ে সবাই বের হয়। সঙ্গে সঙ্গে পুরো এলাকা ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ছেয়ে যায় এবং সবাই দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। ভেতরে আগুন এবং ধোঁয়ায় আটকা পড়ে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েন।

বেঁচে ফেরার চেষ্টার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "আমাদের একজন শিক্ষক অনেক চেষ্টা করে ভবনের দক্ষিণ দিকের একটি গ্রিল ভাঙতে সক্ষম হন। এরপর আমরা কয়েকজন ওই অল্প জায়গা দিয়ে কোনোমতে বের হতে পারি। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্যরা উদ্ধারকাজে এগিয়ে আসে।"

এই ঘটনায় তিনি নিজেও মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। তার দুই হাত, মুখ ও কান পুড়ে গেছে এবং ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তিনি জানান, ঘটনার পর তিনি দৌড়ে ওয়াশরুমে গিয়ে একটি ভেজা কাপড় দিয়ে নাক-মুখ চেপে ধরেছিলেন এবং তার কাছে আসা কয়েকজন শিক্ষার্থীকেও একই পরামর্শ দেন।

দুর্ঘটনার ভয়াবহতা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, "আমার সাথে থাকা তিনটি ছাত্রকে আমি হাসপাতালে নিয়ে আসি। তাদের মধ্যে একজনের শরীরের অনেকাংশ পুড়ে যাওয়ায় তাকে সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরের চামড়া উঠে গিয়েছিল।"

ঘটনাটি এতটাই আকস্মিক ছিল যে, কী করবেন তা বুঝে ওঠারও সুযোগ পাননি অনেকে। এই শিক্ষকের আশঙ্কা, এই ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা অনেক হতে পারে। ছুটির ঠিক আগমুহূর্তে এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক তৈরি করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়