হ্যাপী আক্তার: নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুদিন উপলক্ষে দিবসটিতে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় ‘রোকেয়া পদক ২০২২’ পেয়েছেন দেশের পাঁচ বিশিষ্ট নারী। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের হাতে সম্মাননা পদক তুলেন। বিটিভি
দিবসটি উদযাপনের লক্ষে দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গ্রহণ করা হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। এ উপলক্ষে প্রকাশ করা হচ্ছে বিশেষ ক্রোড়পত্র, পোস্টার, বুকলেট ও স্যুভেনির।
নারী উন্নয়নে অবদান রাখায় এ বছর রোকেয়া পদকপ্রাপ্তরা হলেন- নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদানের জন্য চট্রগ্রাম জেলার প্রফেসর কামরুন নাহার বেগম (এ্যাডভোকেট), নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সাতক্ষীরা জেলার ফরিদা ইয়াসমিন (জন্মস্থান খুলনা), সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় নড়াইল জেলার ড. আফরোজা পারভীন, পল্লী উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ঝিনাইদহ জেলার নাছিমা বেগম, নারী শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য ফরিদপুরের জেলার রহিমা খাতুন।
উল্লেখ্য, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৮৮০ সালে ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মুসলিম সমাজে তখন মেয়েদের লেখাপড়ার কোনো প্রচলন ছিল না। তাই তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও পরিবারের অগোচরে বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় উর্দু, বাংলা, আরবি ও ফারসি লিখতে ও পড়তে শেখেন। তার জীবনে শিক্ষালাভ ও মূল্যবোধ গঠনে তার ভাই ও বড় বোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। পরে বিহারের ভাগলপুরে সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। স্বামীর উৎসাহে ও নিজের আগ্রহে তিনি লেখাপড়ার প্রসার ঘটান। বেগম রোকেয়া ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর মারা যান।
বেগম রোকেয়া ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি’ জরিপে ষষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে পরিচিত। তার উল্লেখযোগ্য রচনা হলো-মতিচূর, সুলতানার স্বপ্ন, পদ্মরাগ, অবরোধ-বাসিনী।
এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :