মাজহারুল মিচেল: [২] বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমির এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান। হুয়াওয়ের ‘সিডস অব দ্য ফিউচার ২০২৩’ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
[৩] বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, খুব শিগগিরই দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের কার্যক্রম শুরু হলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সহজ হবে।
[৪] তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি পুরস্কারপ্রাপ্ত তরুণেরা আমাদের দেশের বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। হুয়াওয়ে না থাকলে বাংলাদেশের টেলিকম অবকাঠামো বৃহদাকারে গড়ে উঠত না।
[৫] নৌপরিবহন সচিব মো. মোস্তফা কামাল বলেন, সিডস ফর দ্য ফিউচারে অংশ নেওয়ার পর যে শিক্ষা অংশগ্রহণকারীরা পেয়েছেন, তা তাদের ভবিষ্যত পথ চলার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে পাশাপাশি সমাজ ও দেশের প্রবৃদ্ধিতেও কাজে লাগবে।
[৬] রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রোগ্রামটি উল্লেখযোগ্যভাবে আইসিটিতে আগ্রহী তরুণদের দক্ষতা বিকাশ করছে এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষতার নানা ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
[৭] হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া রিজিওনের বোর্ড মেম্বার লিজংশেং বলেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তাদের যে আগ্রহ, তা প্রশংসার দাবিদার। একটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে পরবর্তী প্রজন্মের যারা প্রযুক্তি স্বপ্নদ্রষ্টা, তাদের ক্ষমতায়নে হুয়াওয়ে সব সময় অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে।
[৮] এ বছরের প্রতিযোগিতার সেরা তিনজন বিজয়ী হলেন রুয়েটের সিএসই বিভাগের বরিশা চৌধুরী; আইইউটি’র বিটিএম বিভাগের সুবেহ তারেক (প্রথম রানার আপ); এবং বুয়েটের এমই বিভাগের ফারশিয়া কাওসার চৌধুরী (দ্বিতীয় রানার আপ)। এছাড়া বরিশা চৌধুরীকে সেরা দলনেতা হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে।
[৯] পুরস্কার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন পেয়েছেন একটি হুয়াওয়ে ল্যাপটপ এবং রানার আপ দুজনকে হুয়াওয়ে ট্যাব এবং হুয়াওয়ে স্মার্ট ওয়াচ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, শীর্ষ ১০ অংশগ্রহণকারীকে হুয়াওয়ে’র সনদপত্র প্রদান করা হয়। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এমএম/টিএবি/এনএইচ