মাজহারুল মিচেল: [২] তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক রোববার (১ অক্টোবর) রাতে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) মিলনায়তনে এমআইএসটির যৌথ উদ্যোগে ÔMeasures and Preparedness for Emerging Cyber ThreatÕ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা একথা বলেন।
[৩] তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে ডেটা শুধু পিপল, ডিভাইস, ওয়েব, বা অ্যাপের সাথেই নয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং ইন্টারনেট অব থিংস এর সাথেও যুক্ত হয়েছে, ফলে ঝুঁকির পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে।
[৪] পলক বলেন, সারা বিশ্বে প্রায় দশ ট্রিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সাইবার অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। আমাদের সবারই ইন্টারনেটে, ডিজিটাল ডিভাইস বা সাইবার ওয়ার্ল্ডের সাথে কোনো ভাবে সংযোগ আছে। তিনি বলেন, পৃথিবীতে দুইধরণের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে, একদল জানে যে তারা সাইবার হামলার শিকার হয়েছে, আরেকদল জানেও না যে, তারা সাইবার হামলার শিকার হয়েছেন।
[৫] তিনি বলেন, এসব ঝুঁকির থেকে বাচতে হলে আমাদের নিজেদের সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। যাতে এআই, মেশিন লার্নিং, ডেটা অ্যানালিটিক্সের ওপরে আমরা এতো বেশী পারদর্শী হই যাতে এইটার কোনো নেগেটিভ ইউজ আমাদের বিরুদ্ধে কেউ না করতে পারে। সেজন্য ইন্ডাস্ট্রি, অ্যাকাডেমিয়া এবং গভর্নমেন্ট একসাথে কাজ করতে হবে।
[৬] পলক বলেন, চারটি বিষয়ে আমাদের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে; এআই, রোবোটিক্স, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং এবং সাইবার সিকিউরিটি। এ বিষয় গুলোতে যদি আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ এবং যোগ্য করে তুলতে পারি, তাহলে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।
[৭] অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মেজর জেনারেল সাইদুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এমএম/টিএবি