শিরোনাম
◈ নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি ◈ পাকিস্তান যদি পাল্টা আঘাত হানে, তখন তা ঘোষণার কোনও দরকার হবে না: জেনারেল আহমেদ শরিফ ◈ অনিশ্চয়তার মাঝেও পি‌সি‌বি চায় বাংলাদেশ দল পাকিস্তান সফরে আসুক ◈ এই প্রথম হ‌কি বিশ্বকাপে আম্পায়া‌রিং করবেন  বাংলা‌দে‌শের সে‌লিম ও শাহবাজ  ◈ পারভেজ হত্যায় গ্রেফতার অভিযুক্ত টিনা ◈ রাফালের ধ্বংসাবশেষ সরানোর প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি ভেরিফাই! ◈ যুদ্ধক্ষেত্রের ‘সাইলেন্ট কিলার’ হারোপ ড্রোনের বিশেষত্ব কী? (ভিডিও) ◈ এখানে আরেকটা বেয়াদব আছে, সে শহীদ ফ্যামিলিকে ননসেন্স বলেছে: সংবাদ সম্মেলনেই শহীদ ইয়ামিনের বাবা(ভিডিও) ◈ দুপুরের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলকে ডেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি, জানিয়েছেন জামায়াতের ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি ◈ ভরসার বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব, সব দোষ এখন ছাত্র উপদেষ্টা নন্দঘোষ: উপদেষ্টা মাহফুজ

প্রকাশিত : ১০ জুন, ২০২৩, ০২:৫২ দুপুর
আপডেট : ১০ জুন, ২০২৩, ০২:৫২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাতের আকাশে উদয় হল নতুন ছায়াপথ

সাজ্জাদুল ইসলাম: রাতের আকাশে জ্বলজ্বল করছে নতুন উদয় হওয়া ওই ছায়াপথ। যা এক মহাজাগতিক বিস্ফোরণে সৃষ্টি হয়েছে। এটি সৃষ্টির পর এর ছবি সঠিকভাবে ধারণ করা হয়েছে। হাওয়াই এর মুনাকিয়ার চূড়ায় অবস্থিত টেলিস্কোপে ধরা পড়ে এ দৃশ্য। সূত্র: সিএনএন

গত ১৯ মে মাসে জাপানী জ্যোতির্বিজ্ঞানী কোইচি ইতাগাকি প্রথম পিহ্ইুল ছায়াপথের সর্পিলাকারের বাহুর মধ্যে নতুন ছায়াপথটি দেখতে পান। ইতাগাকি হলেন একজন দক্ষ ছায়াপথ শিকারী। তিনি জাপানের ইয়ামাগাতার কাছে পর্বতমালায় অবস্থিত তার মানমন্দির ব্যবহার করে ৮০টিরও বেশি মহাজাগতিক বিস্ফোরণের দৃশ্য প্রত্যক্ষ ও ধারণ করেছেন।

নতুন ছায়াপথের নাম এসএন২০২৩আইএক্সএফ। গত ৫ বছরের মধ্যে এটি সবচাইতে কাছে থেকে দেখা গেছে। কোন একটি নক্ষত্র তার আয়ুস্কালের শেষে যখন প্রচন্ড বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়, তখনই সুপারনোভার সৃষ্টি হয়।

পিনহুইল ছায়াপথ উরসা মেজর নামক নক্ষত্রপুঞ্জের দিকে অগ্রসর হয়। এটি পৃথিবী থেকে ২ কোটি ১০ লাখ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। ছায়াপথটি পৃথিবীর মুখোমুখি অবস্থান করছে। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এর সর্পিলাকারের কাঠামো যাতে ১ ট্রিলিয়ন নক্ষত্র রয়েছে।

এ ছায়াপথের সর্পিলাকারের বাহুগুলোতে অসংখ্য নিহারিকা অঞ্চল রয়েছে। এসব অঞ্চলে নতুন নতুন নক্ষত্রের জন্মের সময় গোলাপী আলো বিচ্ছুরিত হয়। এ ছবির নীল আলোর চিহ্নগুলো ধরা পড়েছে হাওয়াইয়ের টেলিস্কোপে। সেখানে নবীন ছায়াপথের নক্ষত্র সংখ্যা, গরম নক্ষত্রের অন্ধকার ধুলিকাময় অঞ্চলগুলো দেখা গেছে। এটি হল নক্ষত্র গঠনের অন্যতম প্রধান উপাদান।

পিনহুইটের বাহুগুলোতে উজ্জ্বল সবুজ আলোর নতুন ছায়াপথকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা টাইপ টু ছায়াপথ বলে মনে করছেন। এর বড় নক্ষত্রের আমাদের সূর্যের চেয়ে ৮ থেকে ৫০ গুণ বেশি পদার্থ রয়েছে। যখন এর পারমানবিক সরবরাহ শেষ হয়ে যায় তখন এটি বিকল হয়ে বিস্ফোরিত হয়। পিহুইট ছায়াপথে এটি হলো ১৫ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় ছায়াপথ সৃষ্টির দৃশ্য দেখা গেল।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা নক্ষত্রগুলো কীভাবে বিস্ফোরিত হয় এবং কখন তা সবচাইতে উজ্জলতা লাভ করে ও কত সময়ের ব্যবধানে তা নিস্প্রভ হয়ে পড়ে তা ভালভাবে উপলব্ধি করার জন্য দূর্বিক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে নবাবিস্কৃত ছায়াপথ পর্যবেক্ষণ করছেন। সম্পাদনা: মাজহারুল ইসলাম

এসআই/এমআই/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়